চট্টগ্রাম : আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়র চসিক ক্লিন ও গ্রিণ সিটির ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ১ আগষ্ট সোমবার থেকে নগরীর ৭টি ওয়ার্ডে ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ।
শনিবার(৩০ জুলাই) বিকেলে কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে ৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে বর্জ্য সংগ্রহ সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শৈবাল দাশ সুমন এর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন,চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কাজ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, সড়ক বাতি আলোকায়ন, নালা-নর্দমা সংস্কার, খাল খনন, জলাবদ্ধতা নিরসন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন সহ নগরবাসীর সেবা চলমান রয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের মৌলিক সমস্যা সমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।চসিকের সেবার মান ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে।
মেয়র বলেন, আগামী ১ আগষ্ট ২০১৬ খ্রি. এর আগেই ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড, ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ড, ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড, ২২নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ড, ২৩নং উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড, ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ড ও ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘর, বাড়ি, দোকান, মার্কেটে বিন সরবরাহ করা হবে এবং নির্ধারিত সময়ে বিনগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় ডাম্পিং করা হবে। যেখানে ডাস্টবিন নেই সেখানে অন্য জায়গা থেকে ডাস্টবিন সংগ্রহ করা হবে।
আ জ ম নাছির আরো বলেন, নগরীতে বসবাসরত জনগনকে বার বার সচেতন করা সত্বেও কিছু সংখ্যক নাগরিক নির্দিষ্ট জায়গায় আবর্জনা না ফেলে যত্রতত্র, যখন-তখন, যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলছে যা দুঃখজনক ও কাম্য নয়। তিনি নগরবাসীকে নির্দিষ্ট সময়ে ডাস্টবিন ও নির্ধারিত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, বর্জ্য অপসারনে শতভাগ সফলতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ অপসারন কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে। মেয়র আরো বলেন, নগর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন, পরিবেশ সম্মত ল্যান্ডফিল তৈরী, নগরীর সার্বক্ষনিক পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে বর্জ্য সংগ্রহ, পরিবহনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
বৈঠকে ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সলিমউল্লাহ বাচ্চু, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাবেদ, ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম, ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হাবিবুল হক, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, নিলু নাগ, মনোয়ারা বেগম মনি, আবিদা আজাদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব ও ভারপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মন্নান সিদ্দিকী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।