তুলি নামে এক তরুণীর সঙ্গে চার বছরের প্রেম। ইসতিয়াক আহমেদ (৩০)। এই সূত্রে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। এক সময় তুলি বিয়ের কথা বলে। কিন্তু ইসতিয়াক তুলিকে জানায়, তার পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নিবে না। বরং তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছে। শুক্রবার বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু গায়ে হলুদের আসর থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তুলির দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয় ইসতিয়াক।
শুক্রবার পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে গিয়েছে ইসতিয়াক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকায়। গ্রেপ্তারকৃত ইসতিয়াক ওই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।
বাদিনী তুলি অভিযোগ করেন ইসতিয়াকের সঙ্গে তার চার বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমিক ইসতিয়াক দৈহিক সম্পর্ক করে। সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে দেওভোগ নাগবাড়ীর জিকুদের চারতলা বাড়ীর তৃতীয় তলার দক্ষিণ পার্শ্বে প্রেমিক ইসতিয়াক আহম্মেদের ভাড়া বাসায় তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে তুলি বিয়ের কথা বললে ইসতিয়াক নানা টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করে অন্যত্র বিয়ে করার পাঁয়তারা করে। এক পর্যায়ে ১৪ই অক্টোবর তুলি জানতে পারে ইসতিয়াক অন্যত্র বিয়ে করছে। পরে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ফতুল্লা মডেল থানায় গিয়ে সে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
তবে প্রেমিক ইসতিয়াকের দাবি, তুলির সাথে তার গত তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এ তিন বছরে প্রেমিকা তুলির নিজ বাসায় উভয়ের সম্মতিতে দুই বার শারীরিক মেলামেশা হয়। সে তুলির সাথে তার সম্পর্কের বিষয়টি বাবা-মাকে জানায়। কিন্তু বিষয়টি তার বাব-মা মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং তার অনত্র বিয়ে ঠিক করে। বিষয়টি সে তার প্রেমিকা তুলিকে অবগত করে। বৃহস্পতিবার ছিলো তার গায়ে হলুদ আর শুক্রবার বরযাত্রী। ফতুল্লা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটির অভিযোগ পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ইসতিয়াককে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।