পানিতে ডুবে প্রতি বছর সারাদেশে ১২ হাজার শিশুর মৃত্যু হয় । আর দিনে গড়ে ৩২ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার সব চেয়ে বেশি। আমেরিকার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, সিআইপিআরবি এবং আইসিডিডিআর বাংলাদেশের উদ্যোগে সাতটি উপজেলায় চালানো গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক মিট দ্য প্রেসে এ গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন সিআইপিআরবি’র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে সারা বিশ্বে আঘাত জনিত কারণে শিশু মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু। প্রতি বছর তিন লাখ ৫৯ হাজার জন পানিতে ডুবে মারা যায়, ৯৭ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। আর এই মারা যাওয়ার মধ্যে ২০ শতাংশের বয়স পাঁচ বছরের কম।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হারে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ হাজার শিশু মারা যায় পানিতে ডুবে।
দিনে মারা যায় ৩২ জন, যাদের বয়স এক থেকে চার বছর।
তিনি আরও বলেন, মা যখন রান্না, কাপড় ধোয়া, পরিবারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তখন এ দুর্ঘটনা বেশী ঘটে। সকাল থেকে দুপুর ১টার মধ্যে এ সময়ে বাড়ির পাশের পুকুর খালে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। শিশুকে সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখলে এ দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব। ডে কেয়ার করলে এই মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কেও উদ্যোগ নিতে হবে। মিট দ্য প্রেসে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনাগোস এর জনসংযোগ কর্মকর্তা ওবায়দুল ফাতাহ তানভির এবং স্কাইপিতে সংযুক্ত হন জন্স হপকিনস ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর আব্দুল গোফুর বাচানি।