স্বর্ণের গয়না বিক্রি করে ফ্লাই দুবাইয়ের টিকিট করেছিলাম‘দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকার কারণে কর্মস্থলে ফিরতে অনেকেই ব্যাংক ঋণ, সুদের ওপরে ধার। কিন্তু তাদের হয়রানির কারণে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরে এলাম।’
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর কতৃপক্ষের কাছে করা এক আবেদনে এভাবেই নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন বেশ কয়েকজন প্রবাসী। ৭৪ ঘণ্টা দুবাই বিমানব্দরে আটকা থাকার পর তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। গতকাল বিকালে এমন মোট ১০৪ প্রবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়। তাদের ৫৫ জন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং ৪৯ জন চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে নামেন। তারা সবাই ফ্লাই দুবাইয়ের টিকিট কিনে প্রতারিত হয়েছেন।
করোনাকালে দেশে এসে আটকা পড়েছিলেন এই প্রবাসীরা। কর্মস্থলে ফেরার তাড়া ছিল সবার। যে যেভাবে পারেন টাকা সংগ্রহ করেছেন। কয়েকগুণ বেশি দাম দিয়ে টিকিট কেনেন ফ্লাই দুবাইয়ের। কিন্তু তাদেরকে দেয়া হয় নকল অনুমোদনপত্র। তাদের আবুধাবির আবাসিক অনুমতিপত্র ছিল, যা দুবাইয়ে কার্যকর নয়।
আলী হোসেন নামে এক প্রবাসী জানান, কাজে ফিরতে ফ্লাই দুবাই উড়োজাহাজ কোম্পানির টিকিট কেনেন বেশি দামে। ফেনীর ‘বিনিময় ট্রাভেলস’ থেকে তার টিকিটের দাম রাখা হয় ৯৫ হাজার টাকা। এর বাইরে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতিপত্রের নামে আরও দুই হাজার টাকা নেয় ‘বিনিময়’। ৮ই অক্টোবর ফ্লাইট থাকলেও একদিন দেরি করে ৯ই অক্টোবর ঢাকা ছাড়ে। দুবাই বিমানবন্দরে পৌঁছার পর অনুমতিপত্র না থাকায় পুলিশ আটক করে তাকে। দুদিন পর দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এই প্রবাসীরা ৭৪ ঘণ্টা দুবাই বিমানবন্দরে অবস্থান করেন, এ সময় তাদের খাবারও দেওয়া হয়নি।