চট্টগ্রাম : বিপিএল ফুটবল লিগের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন দলই গোল না পাওয়ায় ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করে দুদল ।জয়ের নেশায় মত্ত হয়ে শেখ রাসেল ও রহমতগঞ্জ দুদলই মাঠে নামে।কিন্তু প্রথমার্ধে চেষ্টা করেও গোলের নাগাল পেলনা দুদল। ৭৫ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ করে রহমতগঞ্জ।কঙ্গো ফরোয়ার্ড সিও জুনাপিও ক্রস করেন।বক্সের ভেতর দাঁড়ানো মিডফিল্ডার মেহবুব হাসান নয়নের পায়ে গিয়ে বল পড়ে।নয়নের উঁচু শট সাইডপোস্টে লেগে জালে জড়ায়। বল তালুবন্দি করতে ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি শেখ রাসেলের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন (১-০)।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে কর্নার পায় রহমতগঞ্জ। মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদের করা কর্নারটি হেড করে ফিরিয়ে দেন রাসেলের আরেক মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজু। বল চলে যায় রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার আলাউদ্দিনের পায়ে। সুযোগ কাজে লাগাতে ডি-বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক ভলি শট নেন তিনি। হতভম্ব হয়ে গোলরক্ষক রাসেল দেখলেন, বল তার পাশ দিয়ে চলে গেছে জালে (২-০)। উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে পড়েন রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়রা।
ম্যাচ শেষে রহমতগঞ্জের কোচ কামাল বাবু বলেন, ‘৩ পয়েন্ট পেয়েছি। খুব খুশি।এই রাসেলের কাছেই স্বাধীনতা ও ফেডারেশন কাপে হেরে আউট হই।এজন্য ওদের হারিয়ে বেশি খুশি হয়েছি। যদিও আমরা খুব একটা ভাল খেলিনি । ওরাই বেশি ভাল খেলেছে। ২ বার ফর্মেশন পরিবর্তন করেছি। দলের ছয় ফুটবলার বিভিন্ন কারণে খেলেনি। তারপরও মনোবল হারাইনি। এটা পরের ম্যাচগুলোতেও ধরে রাখতে চাই।’
শেখ রাসেলের কোচ মারুফুল হক বিমর্ষ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে হারার পর ভেবেছিলাম এই ম্যাচ জিতে ঠিকই ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। তা হয়নি। ম্যাচের ৮৫ মিনিট পর্যন্ত ডমিনেট করেছি আমরাই। হারলেও হতাশ নই। এখনও অনেক ম্যাচ বাকি।
আজকের খেলায় হেরেছি মনোযোগের অভাবে। খেলা ঠিক ছিল। ঘাটতি ছিল ফিনিশিংয়ে। দলের রিসোর্স যা আছে, তাই নিয়েই লড়তে হবে। চাপে পড়লেও এই চাপ সামলে বের হয়ে আসা সম্ভব।’