৩ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে হেলাল উদ্দিন শেখ (৫৭) এক লম্পটকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ সাভারের আশুলিয়ায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুদেরকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত কুমার সাহা।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর আশুলিয়ার তৈয়বপুর উত্তর মোল্লাপাড়া এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক হেলাল উদ্দিন শেখ ময়মনসিংহ জেলার গফরগাও থানার ছয়ানী রসুলপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে আশুলিয়ার তৈয়বপুরে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৯ বছরের দুই যমজ মেয়েকে নিয়ে পোশাক শ্রমিক মা-বাবা তৈয়বপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাদের মা-বাবা কাজে গেলে সুযোগ বুঝে বাড়িওয়ালা হেলাল উদ্দিন মজো কিনে দেওয়ার কথা বলে জমজ দুই বোনসহ প্রতিবেশী আরও এক শিশুকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে শিশুদের বাবা-মা কাজ থেকে বাসায় ফিরে এলে তারা কান্নাকাটি করে ঘটনার বর্ননা দেয়।
এ বিষয়ে তারা বাড়ির মালিক হেলাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে উল্টো তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সচেতন এলাকাবাসীরা বিষয়টি টের পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক জয়ন্ত কুমার অভিযান চালিয়ে বৃহষ্পতিবার রাতে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত কুমার জানান, গত ৬ অক্টোবর তৈয়বপুর এলাকার গ্রেপ্তারকৃতের নিজ বাড়িতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ৯৯৯ এর কল পাওয়া মাত্র পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার বাদী হয়ে শুক্রবার আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অন্যদিকে সাভারে ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় গতকাল অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঘটনায় রাতেই নির্যাতিত মেয়ের মা বাদী হয়ে সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।