ঢাকা : বুধবার বিকালে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্ন-উত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব ফের নাকচ করে দিয়েছেন। বলেছেন, এখন বয়স বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে লেখাপড়া প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। বছরের পর বছর সেশন জট থাকতো, সময় মতো ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারতো না। চাকরির বয়স পার হয়ে যেতো।’
তিনি বলেন, ওই সময় থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স কিন্তু ২৫ বছর, এরপর ২৬ করা হয়। সেখান থেকে ৪ বছর বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে। ত্রিশ বছর করার পরেও যদি কেউ চাকরি না পায় তাহলে এটি দুঃখজনক। এখন সেশন জট নেই, ২২-২৩ বছরের মধ্যে মাস্টার্স শেষ হয়ে যায়।তিনি বলেন, কথায় আছে যারা পারে তারা সব বয়সেই পারে।যারা পারে না তারা ৯০ বছর বয়সেও পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এখন সেশন জট নেই। চার বছর বাড়ানো হয়েছে… আর কত বাড়াতে হবে? তাহলে কী তারা পৌঢ় বয়সে গিয়েও চাকরি নেবে? ২২/২৩ বছরে যে মেধা ও কর্মক্ষমতা থাকে তা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। আর তাছাড়া যারা পারে তারা সব সময়ই পারে।