চট্টগ্রাম : নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এ এ এম হুমায়ুন কবিরমঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও বিষয়টি বুধবার সাংবাদিকদের জানান ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ইসমাইল (২৬), আমিরুজ্জামান পারভেজ (৩৭) ও মো. নাজমুল হুদা (২৫)।
এদের মধ্যে নাজমুল চট্টগ্রামের বেসরকারি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর ছাত্র। ইসমাইল আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) থেকে সম্প্রতি এমবিএ পাস করেছেন।
আর আমিরুজ্জামান একসময় নগরীর সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ইসমাইল ও আমিরুজ্জামান পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুর ইসমাইল কলোনির বাসিন্দা। নাজমুল অক্সিজেন গুলবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, “স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় লোকজনের সাথে কথা বলছিল তিনজন। কথার ফাঁকে পরিস্থিতি বুঝে লিফলেটও বিলি করছিল তারা। তাদের পোশাকের আড়ালে কিছু লিফলেট লুকানো ছিল।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চট্টগ্রামে হিযবুতের কোনো নেতার নাম জানায়নি বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, “তারা জানিয়েছে, সংগঠনের ওয়েবসাইটে সব ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। সেখান থেকেই প্রয়োজন বুঝে তারা প্রিন্ট করে নেয়।”
এর আগে গত ২৪ জুলাই বাকলিয়া ও পাঁচলাইশ থেকে হিযবুতের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তারা হলেন- ফয়সাল বিন আজিজ ওরফে আদর, সুলতান মোহাম্মদ খান ওরফে বিদ্যুৎ, আরিফুল ইসলাম ও ফখরুল আবেদীন।
এদের মধ্যে ফয়সাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষ, বিদ্যুৎ বিবিএ চতুর্থ বর্ষ, আরিফুল ইতিহাস চতুর্থ বর্ষ এবং ফখরুল চট্টগ্রাম কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
গ্রেপ্তারের পর তারা আশিক নামে সংগঠনের আরেক সদস্যের নাম পুলিশকে জানিয়েছিলেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আব্দুর রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী আশিককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
পাঁচলাইশ থানায় গত মঙ্গলবার করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার চার হিযবুত সদস্যের সঙ্গে আশিককেও আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।