ঢাাকা : আপিল আদালত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল কাদেরকে থানা হেফাজতে নির্যাতনের মামলায় খিলগাঁও থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হেলাল উদ্দিনের ৩ বছরের কারাদন্ডের রায় বহাল রেখেছে।
বুধবার ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির আপিল মামলার নিষ্পত্তি শেষে সাজা বহালের এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৭ মে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবির রাজ এ আসামির ৩ বছর কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে তার আরও ৩ মাসের কারাদন্ডের রায় দেন।।
উল্লেখ্য, নির্যাতনের শিকার আব্দুল কাদের বর্তমানে লক্ষীপুর জেলার মহিলা সরকারী কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এর আগে মামলাটিতে ২০১২ সালের ১ অক্টোবর এ আসামি বিরুদ্ধে একই আদালত দন্ডবিধির ৩২৬/৩৩১ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।
২০১১ সালের ১৫ জুলাই বিকাল ৫টায় আব্দুল কাদের তার ছোট বোন ফারজানা আক্তারকে নিয়ে গুলশানের ইন্দিরা গান্দী কালচারাল সেন্টারে বৃত্তি অনুষ্ঠানে যান। সেখান থেকে হলি ফ্যামেলি স্টাফ কোয়ার্টারে তার খালার বাসায় বোনকে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যাবার সময় সেগুন বাগিচায় দুদক সামনে থেকে টহল পুলিশ তাকে রাত ১টায় আটক করে ছিনতাইকারী বলে খিলগাঁও থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে খিলগাও থানায় দুটি মামলা করে। এছাড়া মোহাম্মাদপুর থানার একটি গাড়ী চুরির মামলায়ও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এই ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ হলে ২০১১ সালের ২৮ জুলাই হাইকোর্ট খিলগাঁও থানার ওসি হেলাল উদ্দিন, এসআই আলম বাদশা ও এএসআই শহিদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন।
এছাড়া মিথ্যা মামলা দায়েরকারী বাদী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলম বাদশার ২০১২ সালের ১৪ মার্চ এক হাজার টাকা অর্থদন্ড করে আদালত সিএমএম আদালত। অর্থদন্ড অনাদায়ে তার ৩০ দিনের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারী মোহাম্মাপুর থানার একটি ও খিলগাঁও থানার দুই মামলা থেকে কাদেরকে অব্যাহিত দেওয়া হয়।