চট্টগ্রাম : বেশির ভাগই উচ্চশিক্ষিত রাজধানীর কল্যাণপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত জঙ্গিরা সবাই ২০ থেকে ২৫ বছরের ছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
কল্যাণপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানকে ‘ইতিহাসের অন্যতম সফল অভিযান’ দাবি করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কল্যাণপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযান ইতিহাসের অন্যতম সফল অভিযান। এই অভিযানে সব জঙ্গি নিশ্চিহ্ন হয়েছে। আমাদের কেবল একজন সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের তাজ মঞ্জিল নামের বাড়িতে জঙ্গিদের আস্তানার খবর গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে পাওয়ার পর সেখানে অভিযান চালানোর জন্য সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান পরিচালনার জন্য যায় কাউন্টার টেররিজম টিম, সোয়াত টিম ও ডিএমপি বিশেষ টিম। ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে সোয়াতের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। থানা-পুলিশও এ অভিযানে সহায়তা করে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা ৭ পয়েন্ট ৬২ পিস্তল, হাতবোমা, গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়। পরে এক ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হয়। এক জঙ্গিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির কমিশনার বলেন, জঙ্গিদের আস্তানা থেকে ১৩টি লোকাল মেড গ্রেনেড, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ৭ পয়েন্ট ৬২ রাইফেল, পিস্তল, একটি তলোয়ার, তিনটি কমান্ডিং চাকু, ১২টি বড় চাকু উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, জঙ্গিদের পরনে ছিল কালো পাঞ্জাবি ও জিন্স প্যান্ট। একজন ছাড়া সবার পায়ে কেডস ছিল। গত ২০ জুন জঙ্গিরা ওই বাসা ভাড়া নেয়। নিহত জঙ্গিদের নাম-ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি। পরে ফেসবুক, প্রিন্ট মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কল্যাণপুরের জঙ্গিদের ছবি পোস্ট করে তাদের পরিচয় সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় এক জঙ্গি পালিয়ে গেছে। তবে ভাড়াটিয়াদের তথ্য না দেওয়ায় বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিকে জঙ্গিবাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। জঙ্গিদের মূলোৎপাটন করা হবে। এদের বিরুদ্ধে সব সময়ই আমাদের জিরো টলারেন্স।