ভারতীয় রপ্তানিকারকরা শনিবার থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আবারো পিয়াজ আমদানি শুরু হবে বলে আভাস দিয়েছে । বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, ভারতীয় রপ্তানিকারকরা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন- এলসি করা যে সমস্ত পিয়াজ ওপারে ট্রাকে আটকা পড়ে আছে, তা বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা চলছে। তিনি বলেন, দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দরের ওপাড়ে ভারতে প্রায় পিয়াজের ৩ শতাধিক ট্রাক আটকা পড়ে আছে। পচন ধরার আশংকায় বাংলাদেশি আমদানিকারকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা ১০ হাজার টনের মতো পিয়াজ আমদানির জন্য এলসি করেছিলেন। যা সীমান্তের কাছে এসেও রাস্তায় ট্রাকে আটকে পড়ে আছে। এসব পিয়াজ প্রবেশ করতে না পারলে সেগুলোতে পচন ধরবে। ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে।
অন্তত এলসি করা পিয়াজগুলো আনার জন্য ব্যবস্থা চলছে। পরে পিয়াজ আমদানি নিয়মিত হবে কি না তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তিনি আরও জানান, ১৩ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা প্রতি মেট্রিক টন পিয়াজ ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারে রপ্তানি করেছিলেন। কিন্তু ভারতে পিয়াজের মূল্য দ্বিগুণের বেশি হয়ে যাওয়ায়, ওই মূল্যে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছেন তারা। ভারতের বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন এলসি মূল্য নির্ধারণ করার জন্যই পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারতের ব্যবসায়ীরা ওই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতি মেট্রিক টন পিয়াজ ৭৫০ ডলার নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব করেছেন বলেও জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
এদিকে এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম জানান, ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় পর স্থলবন্দরগুলোর ওপারে আটকা পড়া পিয়াজ ভারত বাংলাদেশে পাঠানোয় সম্মত হয়েছে। তবে, কবে থেকে দিবে তা এখনো বলা সম্ভব নয়।