দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যায় অভিযুক্ত কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমারকে।
সোমবার দুপুর দেড়টায় এই আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত।
মামলার বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারা জানান, আজ আদালতে দুদকের করা মামলায় ওসি প্রদীপকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি ছিল। আদালত এই আবেদন আমলে নিয়েছেন। পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর।
গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। সেই মামলায় ২৭ আগস্ট মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জমা দেয়া হয়। মামলায় প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রাম কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. কামাল উদ্দিন জানান, প্রদীপ কুমার দাস চট্টগ্রাম কারাগারে সাধারণ হাজতির মতো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তাকে ডিভিশন দেয়া হয়নি। তবে তাকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথেই রাখা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে একটি ডকুমেন্টারির জন্য ভিডিওচিত্র ধারণ করে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ দিয়ে হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নিহতের বোন। এরপর পুলিশের সাত সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতের নির্দেশে এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও পুলিশের মামলার সাক্ষী স্থানীয় তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।