ঢাকা : পুলিশ রাজধানীর কল্যাণপুরের ‘তাজ মঞ্জিল’ নামের যে বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়েছিল জঙ্গিরা, তার মালিক আতাহার উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে । তিনি বাড়ি ভাড়া দেওয়ার আগে তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে থানায় জমা দেননি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, গত ২০ জুন ওই বাড়ির ষষ্ঠ তলা জঙ্গিদের কাছে ভাড়া দেন আতাহার আহমেদ। নিয়মানুযায়ী পুলিশের দেওয়া ফরমে ভাড়াটেদের তথ্য পূরণ করে তা থানায় দেয়ার কথা, আতাহার আহমেদ এসব তথ্য জমা দেননি। এ জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের তাজ মঞ্জিল, স্থানীয় মানুষের কাছে ‘জাহাজ বাড়ি’ নামে পরিচিত ভবনের পঞ্চম তলায় জঙ্গিরা ভাড়া ওঠে ঈদের পর। সেখানে জঙ্গি আস্তানা রয়েছে, এমন গোপন খবর পেয়ে সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোরে এক ঘণ্টার অভিযান ‘অপারেশন স্টর্ম-টোয়েন্টি সিক্স’-এ নয় ‘জঙ্গি’ নিহত হয়। আটক হয় একজন।
গত ১৬ জুলাই গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জড়িতদের বাড়ি ভাড়া দেয়ায় এর আগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বরখাস্ত উপ-উপাচার্য গিয়াসউদ্দিন আহসানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এরপর আটক হন শেওড়াপাড়ায় জঙ্গিদের আরেক আস্তানার বাড়ির মালিক নুরুল ইসলাম। তার ৪৪১/৮ পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসা থেকেও ‘জঙ্গিদের ব্যবহৃত হাতে তৈরি গ্রেনেড, কালো রঙের পোশাক’ পাওয়া যায়। সে সময় পুলিশ জানায়, ‘ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ না করা এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
নির্ধারিত ফরমে ভাড়াটেদের নির্দিষ্ট তথ্য দিতে একাধিকবার অনুরোধ করেছে পুলিশ। বাহিনীটি বলছে, কোনো বাড়ি ভাড়া নিয়ে সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করলে এর মালিকও তাদের সহযোগী হিসেবে মামলার আসামি হতে পারেন। কিন্তু পুলিশ বারবার সতর্ক করলেও বাড়ির মালিকরা ভাড়া দেয়ার আগে ভাড়াটেদের বিষয়ে নির্ধারিত তথ্য সংগ্রহ ও স্থানীয় থানায় সেগুলো জমা দেয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট তৎপর নন বলে পুলিশের বক্তব্যে জানা যাচ্ছে।