আসামি মিজানুর রহমান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা কারগার থেকে বরে হয়েই মামলার বাদি মিন্টু মৃধার (৪০) একটি চোঁখ তুলে নিয়েছেন। এতেই ক্ষান্ত হননি তারা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মিন্টুর ডান পা প্রায় বিচ্ছিন্ন এবং চোয়ালের ডান অংশ দুই ভাগ করে ফেলেছে তারা।

শুক্রবার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বীপাশা গ্রামে নৃশংস এ ঘটনা ঘটেছে। মিন্টু সদর ইউনিয়নের গোসিঙ্গা গ্রামের করিম মৃধার ছেলে। তিনি পেশায় মাছ ব্যবসায়ী।

আহত মিন্টুর মেয়ে সোনিয়া আক্তার সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মিন্টুকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মিন্টু মৃধার সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকেই বিরোধ চলে আসছে দ্বিপাশা গ্রামের মিজানুর রহমান ও তার ভাই সোহেল মাতুব্বরের সঙ্গে। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা চলছে। সম্প্রতি মিন্টুর একটি মামলায় কারাভোগ করে বের হন মিজানুর।

শুক্রবার দুপুরে মিন্টু ব্যবসায়ী কাজে মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামে গিয়ে খেয়াঘাট সংলগ্ন উচুঁপুল এলাকার একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এমন সময় মিজানুর ও তার ভাই সোহেল মাতুব্বরের নেতৃত্বে পাঁচ-সাতজনের একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিন্টুকে কুপিয়ে জখম করে।

এক পর্যায় দুর্বৃত্তরা মিন্টু মৃধার বাম চোখ খুঁচিয়ে তুলে ফেলে, ডান চোখটিও নষ্ট করার চেষ্টা করে। দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মিন্টু মৃধার মুখের ডান চোয়াল মারাক্তক জখম হয়। এ ছাড়াও তার ডান পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে গেলে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা মিন্টুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘মিন্টু মৃধার বাম চোখটি খুঁচে তুলে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া তার অন্যান্য জখমও গুরুতর। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031