ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভার সংলগ্ন জিরোপয়েন্ট এলাকায় সড়কের মাটি ফুঁড়ে নিচ দিয়ে বুদ বুদ করে বের হচ্ছে গ্যাস ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে । দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে দিলেই জ্বলে উঠছে আগুন। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের প্রায় এক’শ মিটার এলাকা জুড়ে গ্যাস বের হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। এতে করে ঝুঁকিতে রয়েছে মহাসড়কে চলাচলরত হাজার হাজার যানবাহন, পথচারী ও স্থাপনা। বার বার অভিযোগ দিলেও বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও সড়ক বিভাগের চিঠি চালাচালিতে দায় সেরেছে। গ্যাস লাইন লিকেজ সারাতে উদ্যোগ নেয়নি কেউ। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের পাশে জিরোপয়েন্ট এলাকায় শাহীন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে মহাসড়কের জোড়া দেওয়া অংশ (সিসি ঢালাই) ও ড্রেন (ফুটপাত) এর পাশ দিয়ে প্রায় এক’শ মিটার অংশ জুড়ে বুদ বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছে।
এতে করে সড়কের ওই অংশের পাশে থাকা রেস্টুরেন্ট ও সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহনের সিলিন্ডার আগুনের সংস্পর্শ এসে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। শাহীন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট’র ম্যানেজার আবদুল আলিম জানান, ‘আমাদের হোটেল সামনে মহাসড়কের ড্রেন ঘেসে ও সড়কের বিভাজন অংশ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস বের হচ্ছে। শুষ্ক সময়ে বিষয়টি ততোটা আঁচ পাওয়া না গেলেও সামান্য বৃষ্টি হলে জোড়া অংশ দিয়ে পানি নিচে নামলে বিষয়টি টের পাওয়া যায়। এতে করে ওই সড়কে চলাচলরত ধুমপায়ী ব্যাক্তি জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি ফেললে ধুপ করে আগুন ধরে যায়।’ মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীবাহি বাসের চালক মোশারফ হোসেন জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে মহিপাল এলাকা অতিক্রম করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। গ্যাস লিক করে দিনের আলোতে আগুন শিখা দেখা না গেলেও রাতের আধারে মাঝে মাঝে আগুনের ছোট শিখা দেখা যায়। মহাসড়কে গ্যাস লিক অংশটি দ্রুত না সারালে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড ফেনী অফিসের ব্যাবস্থাপক মো. সাহাব উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে গ্যাস লাইনের ফাটল স্থানগুলো পরিদর্শন করে তালিকা করা হয়েছে। সড়ক বিভাগের অনুমতি নিয়ে রাস্তা কেটে মহাসড়কের ত্রুটিযুক্ত লাইন মেরামত করতে সময় লাগবে। সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবারে গত ২৬শে জুলাই লিখিত আবেদন করা হয়েছে। সড়ক বিভাগের অনুমতি, প্রয়োজনীয় লোকবলসহ অর্থ বরাদ্ধ পাওয়া সাপেক্ষে দ্রুত লিকেজগুলো মেরামত করা হবে।
অপরদিকে ফেনী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ জানান, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শনও করেছি। ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রেখে কিভাবে দ্রুত বিষয়টির সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব। আশা করি দ্রুততর সময়ে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।