ঢাকা : আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে অভিযান শুরু হয়। রাজধানীর গুলশানে অননুমোদিত আবাসিক এলাকা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের সময় গুলশান ১ ও ২ নম্বরের আবাসিক এলাকায় কয়েকটি রেস্তোরাঁ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া একটি স্পা ও বিউটি পারলার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
গুলশান ১ নম্বরে একটি তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ছিল এসডব্লিউএস কোর। দ্বিতীয় তলায় ফুড প্যালেস নামে একটি রেস্তোরাঁ ছিল। নিচতলায় ছিল ইস্টার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামে একটি প্রতিষ্ঠান ও মল্লিক স্ন্যাক্স নামে একটি দোকান। ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ভবনের গ্যাস ও বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সেগলো উচ্ছেদ করা হয়।
গুলশান ২ নম্বর সড়কে অননুমোদিত পাঁচতলা আরেকটি ভবনের নিচতলায় ফাস্ট ফুডের দোকান সিএফসি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভবনের দোতলায় একটি স্পা ও বিউটি পারলার সিলগালা করে দেওয়া হয়।
আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় ২১ কর্মদিবস ধরে অভিযান চলবে।
ওই ভবনের দুই ভবনের মালিকরা অভিযোগ করেন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়ার জন্য তাদের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর আগেই হঠাৎ উচ্ছেদ অভিযান চালানোয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন।
রাজউক যে নোটিশ দিয়েছিল, তা নিয়মিত কাজের অংশ ছিল বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ওয়ালিউর রহমান। তিনি বলেন, কিন্তু আদালতের কোনো ধরনের নোটিশ প্রয়োজন হয় না।
রাজধানীর গুলশানে ১ জুলাই হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার পর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা আসে। গুলশানে ৫৫২টি প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করার তালিকা করেছে রাজউক।