ঢাকা : রুলিন স্টেইনিঙ্গার হিলারি ক্লিনটনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট দেখে যেতে চান ‘অন্ধকার যুগে’ জন্ম নেয়া। তার বয়স এখন ১০৩ বছর। আগামী ৮ই নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি হিলারির জন্য ভোট দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তিনি আইওয়া রাজ্যের অধিবাসী। ১৯১৩ সালের ১৪ই এপ্রিল তার জন্ম। তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় নি। নারীদের কোন ভোটাধিকার ছিল না। ১৯২১ সালে ১৯তম সংশোধন আনা হয় মার্কিন সংবিধানে। তারপরই নারীরা ভোটাধিকার পান। তখন রুলিন স্টেইনিঙ্গারের বয়স মাত্র ৭ বছর। পড়াশোনা শিখে এক পর্যায়ে তিনি স্কুল শিক্ষিকা হন। কিন্তু সব সময়ই রাজনীতির প্রতি ছিল তার অন্যরকম মোহ। তিনি জীবনে প্রথম ভোট দেন ১৯৩৬ সালে। তখন তিনি ভোট দিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টকে। ওই বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রুজভেল্ট। তারপর যত নির্বাচন হয়েছে তার সবটিতে তিনি ভোট দিয়েছেন। তবে তিনি কখনও কল্পনাও করতে পারেন নি যে, একদিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বী একজন নারীর নাম দেখতে পাবেন ব্যালটে। তিনি বলেছেন, আমি একজন নারীর কথা কখনও কল্পনা করতে পারি নি। সব সময় মনে করতাম যে প্রেসিডেন্ট হবেন একজন পুরুষ। আমার মধ্যে এ রকমই ধারণা হয়ে গিয়েছিল। তার কাছে সাংবাদিক গ্যারি টাচম্যান জানতে চেয়েছিলেন, নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি কি হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দিচ্ছেন? জবাবে রুলিন স্টেইনিঙ্গার বলেছেন, আপনি কি আমার সঙ্গে মস্করা করছেন? আমি বুঝতে পারি না কেন অন্যরা সবাই তাকে বেছে নিচ্ছেন না। তাই তিনি হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দেয়ার বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, আমার জীবনের প্রথম এক শতাব্দীতে অবিশ্বাস্য অনেক কিছু দেখেছি। একটি মহামারী, বিশ্বব্যাপী দুটি বিপর্যয়, পোলিও প্রতিকার, প্রথম ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট, চাঁদে একজন মানুষ, গুটিবসন্তের সমাপ্তি ও একজন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত প্রেসিডেন্ট দেখেছি। আমার জীবনের বাকি শতাব্দীতে একজন নারী প্রেসিডেন্ট দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। আমার সামনে অনেক বড় একটি কাজ পড়ে আছে। আমাকে সে পর্যন্ত বাঁচতে হবে। তারপর, ঠিক আছে, তারপরই আমি মরতে পারি। কিন্তু তার আগে তাকে (হিলারিকে) নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট দেখা পর্যন্ত আমি বাঁচতে চাই।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |