চট্টগ্রাম : আজম নাছির উদ্দিন সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেছেন, চট্টগ্রামের জলাবন্ধতা নিরসনে মদুনাঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ২৬কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়ি বাধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে সোমবার চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিউটে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তার নেয়া সংস্কার উদ্যোগের কারণে করপোরেশনের পরিচালনা ব্যয় দ্বিগুন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি যথা সময়ে কর পরিশোধের মাধ্যমে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যও নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।
দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই সূধী সমাবেশে চট্টগ্রাম নগরীকে বিলবোর্ড মুক্ত করার জন্য মেয়র নাছিরের প্রশংসা করার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় পরামর্শ দেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রতিনিধিরা।
মেয়র আজম নাছির বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সামুুদ্রিক জোয়ারের কারণে যে জলাবদ্ধতা- তা নিরসনে ২৬ কিলোমিটটার দীর্ঘ বেড়ীবাধ নির্মাণ, ২৬টি খাল সংস্কারও দুটি নতুন খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৩হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রী চট্টগ্রামের হওয়াতে আমাদের জন্য বড় ধরনের সুবিধা হয়েছে, সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলুসহ তার সাথে এই ব্যাপারে আমরা অনেক আলোচনা করেছি, তিনজনে বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি, এরপর মন্ত্রনালয় একটা কমিটি করে দিয়েছে, িএই কমিটি প্রকল্পটি প্রস্তুত করছে, এরপর এটি সরকারের সংম্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও বিভাগে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য।
নদীর তীর ঘেষে তৈরী হওয়া এই বেড়ীবাধেঁ সিটি করপোরেশেন চার লেইনের সড়ক নির্মাণ করবে, উল্লেখ করেন তিনি।
১৯৮৮ সালের অর্গানোগ্রামের লোকবল দিয়ে করপোরেশন চালানো অসম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে অবৈধ বিল বোর্ড মুক্ত করে সবুজ নগরী গড়ার উদ্যোগ বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে, এছাড়া ঘরে ঘরে গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। এসব কারণে করপোরেশনের মাসিক পরিচালনা ব্যয় পুর্বের নয় কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৮কোটি টাকায় দাড়িয়েছে বলে জানান তিনি।
বাড়তি ব্যয় মিটানোর জন্য কর আদায় কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে, এই কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য নগরবাসীর সহায়তা কামনা করেন মেয়র আজম নাছির।
তিনি বলেন, পুর্বের মেয়ররা যে হারে কর আদায় করতো আমিও একই হারে কর আদায় করছি, বর্তমানে সার্ভে করা হচ্ছে, ৪১টি ওয়ার্ডে সর্ভে শেষ হলে নতুন কর নির্ধারণ করা হবে, অথচ এটা নিয়ে এখন থেকেই সমালোচনা হচ্ছে।
তার কার্যক্রম সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারনা চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র আজম নাছির বলেন, “সমালোচনাকে আমি ভয় পায়না, এখন পর্যন্ত অনেক ধরনের সমালোচনা এবং অপবাদের েমুখোমুখি হতে হয়েছে, বলতে পারি সমালোচকরা আমাকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন, বর্তমানে আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য হতে পেরেছি এটাই আমরা বড় সফলতা”
“ সমালোচনা করার জন্য ঘাপটি মেরে না থেকে পরামর্শ দিন, পরামর্শ শুনার জন্য যেখানে বলবেন সেখানে যাবো, প্রয়োজনে আপনাদের দুুয়ারেও যেতে আমি রাজি আছি, বলেন আজম নাছির।
জাতীযসংঘ পার্ক নিয়ে বাড়তি সমালোচনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র দাবি করেন, এই পার্কের সুইমিং পুলে অনেক অসংগতি থাকায় এটি ব্যবহার অনুপিযোগি এবং ঝুকিপূর্ন, আমরা এখন শুধু ত্রুটিগুলো সংশোধরন করছি।
সূধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সারওয়ার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার ও বিজিএমইএ’র প্রথম সহ সভাপতি মাইন উদ্দিন আহমদ মিন্টু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসির উপাচার্য প্রভাত চন্দ্র বড়ূয়া প্রমুখ।