প্রযুক্তি ভয়েস ওভার এলটিই বা ভোলটিই বাংলাদেশে চালু হয়েছে মোবাইলের উন্নত কল । আইপিভিত্তিক ভয়েস কলের এ প্রযুক্তির জন্য গ্রাহকদের প্রয়োজন ভোলটিই সমর্থিত হ্যান্ডসেট। বাংলাদেশের বাজারে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের বিভিন্ন মডেলের হ্যান্ডসেটে রয়েছে ভোলটিই সুবিধা। ফলে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে হুয়াওয়ে গ্রাহকরা ভোলটিই কাভারেজ এলাকায় পাবেন সর্বাধুনিক ভয়েস কল অভিজ্ঞতা।
দেশের বাজারে থাকা হুয়াওয়ের বিভিন্ন মডেলের হ্যান্ডসেটে রবি ও গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা এ প্রযুক্তির সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। হুয়াওয়ের ওয়াই সিরিজের- ওয়াই নাইন প্রাইম, ওয়াই নাইন এস, ওয়াই সেভেন পি মডেলে ভোলটিই প্রযুক্তি সমর্থন করে। মেট সিরিজের মেট ২০ প্রো ও মেট ৩০ প্রোতেও রয়েছে এ সুবিধা। তবে বাংলাদেশের গ্রামীণফোন গ্রাহকরা শুধুমাত্র মেট ২০ প্রোতে এ সুবিধার আওতায় থাকবেন। হুয়াওয়ের পি সিরিজের পি৪০ প্রোতে মিলবে ভোলটিই প্রযুক্তি। এছাড়া নোভা থ্রি আই, নোভা ফাইভটি ও নোভা সেভেন আই- নোভা সিরিজের এ তিনটি ফোনে ভোলটিই সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে শুধুমাত্র গ্রামীণফোন গ্রাহকরা নোভা ফাইভটিতে ভোলটিই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। আর নোভা সেভেন আই মডেলের হ্যান্ডসেটটি এখনও দেশের বাজারে উন্মুক্ত না হলেও খুব শিগগির কিনতে পাওয়া যাবে।
ভয়েস কলে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ও এইচডি মানের কলিং অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় ভোলটিই প্রযুক্তিতে। এর ফলে অন্য সাধারণ নেটওয়ার্কের তুলনায় খুব কম সময়ে কল কান্ক্টে করা যায়। কল কানেক্ট হলে মুখোমুখি কথা বলার মতো একইরকম অভিজ্ঞতা মেলে এ প্রযুক্তিতে। কলড্রপ কমে যাওয়ার পাশাপাশি ভয়েস কলে ব্যাটারির চার্জ খরচ কম হয়। তবে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন ফোরজি সুবিধা, কাভারেজ এলাকা ও ভোলটিই সমর্থিত হ্যান্ডসেট।
বাংলাদেশের বাজারে গ্রাহকদের জন্য প্রথম এ সেবা নিয়ে আসে টেলিকম কোম্পানি রবি। এরপর গ্রামীণফোনও তাদের গ্রাহকদের জন্য এ প্রযুক্তি চালু করেছে।