ঢাকা : পেপারবুক প্রস্তুত হলে মামলাটি শুনানির জন্য উঠবে। মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে ১২ বছরের শিশু খুলনার রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্সের শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ ঢাকাটাইমসকে বলেন, রায় ঘোষণার পরপর রাকিব হত্যার মামলার রায়সহ নথিপত্র হাইকোর্টে এসেছে। এখন পেপারবুক তৈরির কাজ চলছে।
তিনি জানান, বর্তমানে ২০১১ সালের হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের শুনানি চলছে। পর্যায়ক্রমে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে রাকিবকে হত্যা মামলার চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি শেষ হওয়ার আগেই আবার নারায়ণগঞ্জে এভাবে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার যাত্রামুড়া এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে সাগর বর্মন (১০) নামের এক শিশুকে পায়ুপথ দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
গত ১০ নভেম্বর চাঞ্চল্যকর রাকিব হত্যা মামলার রায়সহ নথিপত্র সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আসে। এর আগে গত ৮ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত। রায়ে তিন আসামির মধ্যে শরীফ মোটর্সের মালিক ওমর শরীফ ও তার দূরসম্পর্কের চাচা মিন্টু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। আর শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেওয়া হয়।
মাত্র ১০ কার্য্যদিবসে এ মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়। বিচার বিভাগরে জন্য ইতিবাচক হওয়ায় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে মামলাটি। এখন ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হলে দণ্ড কার্যকরের জন্য চূড়ান্ত দিকে যাবে।
নিয়ম অনুযায়ী, বিচারিক আদালতে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ‘ডেথ রেফারেন্স মামলা’হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পায় আসামিপক্ষ।
২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনার টুটপাড়ায় মোটরসাইকেল গ্যারেজ শরীফ মোটর্সে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কম্প্রেসার মেশিনের মাধ্যমে শিশু রাকিবের মলদ্বার দিয়ে পেটে বাতাস দেওয়া হয়। অতিরিক্ত বায়ুর চাপে রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।