ঢাকা : তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান কে সাজা দেয়ার মাধ্যমে সরকার বিএনপির বুকে হাত দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়াসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাজা দেয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই।’
রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার বেগম খালেদা জিয়াকেও সাজা দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগ করে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। আজকে আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। তারেক রহমান সাহেবের রায় প্রমাণ করেছে তারা আমাদের বুকের মধ্যে হাত দিয়েছে। এরপর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আছেন, সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আছেন, আমরা কেউ এখান থেকে বাদ যাবো না।’ বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে থাকা মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য সরকার ইতিমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে তিনটি ট্রাইব্যুনাল করেছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ফখরুল বলেন, ‘তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়ে গেলে মানুষ বসে বসে চীনা বাদাম খাবে না। ১৯৫২ সালে ১৯৭১ সালে মানুষ চীনা বাদাম খায়নি, বুকের রক্ত দিয়ে অধিকার আদায় করেছে।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘তারেক রহমানকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাজা দেয়া হয়েছে যাতে তিনি রাজনীতি এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে দিয়ে এই উদ্দেশ্য হাসিল করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে সরকারকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য উদ্ধৃত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশের সঙ্গে আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা স্বৈরাচারের সঙ্গে থাকবে না।’
বন্ধু দেশগুলোর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ বন্ধুত্ব চায়, সহযোগিতা চায়। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে তা সহ্য করা হবে না।’
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তব্য দেন।