প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক দিনে দুই সহকর্মীকে হারিয়ে সংসদে আবেগ আপ্লুত স্মৃতিচারণ করেছেন । রোববার সকালে জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হলে প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম ও শেখ মো. আব্দুল্লাহ’র স্মরণে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে অনেকটা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি সহকর্মীদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। মোহাম্মদ নাসিম এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় চার নেতার হত্যাকা-ের পরই মোহাম্মদ নাসিম রাজনীতিতে সক্রিয় হন। রাজনীতিতে আসার পর থেকেই তিনি অত্যাচার নির্যাতনের শিকার। জিয়াউর রহমানের সময়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে তিনি নির্যাতনের শিকার হন। এরপর খালেদা জিয়ার আমলেও তিনি নির্যাতনের শিকার হন।
ওয়ান ইলেভেনের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলে থাকা অবস্থায়
ব্রেন স্ট্রোক করে পড়ে ছিলেন। তখন সালমান এফ রহমানও জেলে ছিলেন। তার জন্য
জেল গেটে একটি এম্বুলেন্স রাখা হতো পরিবারের পক্ষ থেকে। সেদিন মোহাম্মদ
নাসিমকে ওই এম্বুলেন্সে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। সেদিন তাকে সময়মতো
হাসপাতালে নিতে না পারলো হয়তো কারাগারেই তিনি মরে পড়ে থাকতেন। তখন তার
শরীরের এক পাশ প্যারালাইজড হয়ে যায়। তারপরও তিনি মানুষের জন্য কাজ করে
গেছেন।
মোহাম্মদ নাসিমের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
তাকে ১৪ দলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। কারণ তিনি সকলকে নিয়ে চলতে পারতেন।
শরীক দলের সদস্যরাও তাকে ভালো জানতেন। তিনি সফলতার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন
করেছেন। তার মৃত্যুতে বিরাট ক্ষতি হয়েছে নিঃসন্দেহে।
শেখ আব্দুল্লাহ’র
স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, তিনি আমার নির্বাচনী এলাকা দেখাশুনা করতেন।
নির্বাচন পরিচালনার কাজ দেখতেন। তাকে আমি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করেছিলাম। আমার
অনেক দিনের চিন্তা ছিল কওমী মাদ্রাসাগুলো নিয়ে। তিনি এ কাজ শুরু করেছিলেন।
তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। হাসপাতালের নিতে নিতেই তিনি মারা গেলেন। এটা
খুব কষ্টের। এক দিনে দুইজনকে হারাতে হলো। এটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর।