ঢাকা : আদালতের রায়ে যুক্তরাষ্ট্রে শর্ট স্কার্ট পরা নারীদের ভিডিওবন্দী করা যাবে। এ ক্ষেত্রে গোপনীয়তা আইনের কোনো লঙ্ঘন হবে না।যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতের রায়ে এমনটাই বলা হয়েছে।রায়ে বলা হয়েছে, শর্ট স্কার্ট পরা তরুণীদের ভিডিওবন্দী করতে তাদের সম্মতিরও প্রয়োজন নেই এবং এতে গোপনীয়তা আইনের কোনো লঙ্ঘন হয়না। মার্কিন আদালতের এই রায় নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। স্কার্ট পরা তরুণী তাঁর অমতে তাকে ভিডিওবন্দী করার পর গোপনীয়তা আইনে ঐ লোকটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানির পর সম্প্রতি এমন রায় হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে গোপনীয়তা আইনে ঐ তরুণী মামলা করেছেন সেখানে অনেক ফাঁক-ফোঁকর রয়েছে। আর সেই ফাঁক গলেই ক্যামেরাম্যান রেহাই পেয়ে গেছেন।
ব্রেন্ডন লি গ্যারি নামে এক ব্যক্তি ২০১৩ সালে শপিংমলের সুপারস্টোরে এক নারীর স্কার্ট পরা দৃশ্য ভিডিও করার চেষ্টা করেন। গ্যারি ওই সুপারস্টোরে চাকরি করতেন। ‘গোপনীয়তা লঙ্ঘন’-এর অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দেন ওই নারী। গ্যারি হিউস্টন কাউন্টি আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেন এবং আদালত তাতে দোষি সাব্যস্ত করেন।
পরে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া আদালতে গ্যারি এই বিষয়ে আপিল করেন। তিনি আদালতে বলেন, ‘আমি কোনো আইন লঙ্ঘন করিনি। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে জর্জিয়া আদালত তাকে ‘গোপনীয়তা লঙ্ঘন’-এর অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।’
বিচারক রায়ে বলেন, ‘বিষয়টি খুব দুঃখজনক যে, কোনো আইন বর্তমানে বিদ্যমান নেই, যা গ্যারির নিন্দনীয় আচরণকে দোষী প্রমাণিত করতে পারে।’
গ্যারি আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, ‘পাবলিক প্লেসে একজন নারীর দৃশ্য ধারণ করে আমি কোনো আইনের লঙ্ঘন করিনি।’