ঢাকা : ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বলেছেন, অর্থনৈতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে বিশ্বের ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে দুর্নীতির টাকাই জঙ্গিবাদে ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে সমভাবে প্রতিরোধ করতে না পারলে আমরা কেউ নিরাপদ থাকবো না।
আজ রবিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে দুদকের কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে দুদকের কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রধানেরা বক্তব্য দেন।
দুদুক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ব্যাংক থেকে লক্ষ কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। আমরা দুর্নীতি বন্ধ করতে চাই। এজন্য পরিচালনা পর্ষদেরও দায় আছে। আমরা এখন সব সরকারি ব্যাংকে যাচ্ছি। বোর্ডের লোকজনকেও ডাকছি।’
দুদক এখন ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি বন্ধ করতে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে বলেও জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকেও জনগণের টাকা থাকে। তাই দুদক বেসরকারি ব্যাংকের দুর্নীতিরও তদন্ত শুরু করছে।’
অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকাকে দুর্নীতির গহ্বর আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে ফ্ল্যাট মালিক, জমির মালিক, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সবাই জড়িত। এ বিষয়ে আমরা সরকারকে সুপারিশ করব। আমাদের আইনের কোনো দুর্বলতা নেই। ক্ষমতার কমতি নেই। রাজনৈতিক কোনো চাপও নেই।’
ব্যাংকিং খাত ও আর্থিক খাত ছাড়াও দুদক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারের বেতন নিয়ে গ্রামে কাজ না করলে সেটাও দুর্নীতি। কর্মস্থলে চিকিৎসকেরা না থাকলে সেটিও দুর্নীতি। এটি ক্ষমতার অপব্যবহার। দুর্নীতি সমাজ ও রাষ্ট্রকে কুরে কুরে খাচ্ছে। সবাই মিলে এটি বন্ধ করতে হবে। সামাজিক আন্দোলন ছাড়া সেটা সম্ভব না।’