ট্টগ্রাম : সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পরিবেশ উন্নয়নে ক্লিন ও গ্রিন সিটির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে চ সিটি কর্পোরেশ, ৬০ লাখ মানুষের মনকে সতেজ ও সবুজ দেখতে চান। সুন্দর পরিবেশে নগরীকে সাজাতে চান।
শুক্রবার(২২ জুলাই) জাতীয় বৃক্ষরোপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেয়র এম এ আজিজ উদ্যানে বৃক্ষের চারা রোপন করে এবং চারা বিতরণের মাধ্যমে মাসব্যাপি বৃক্ষরোপন কর্মসুচির শুভ সুচনা করেন।
এরপর বিকালে নগরীর উত্তর পতেঙ্গা ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের এক সুধি সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
সুধি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চসিক ৫ম সাধারন পরিষদের পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পরিবেশ উন্নয়নে ও নগরীকে গ্রীন সিটিতে রূপান্তরে তার ভিশন ও পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রিয় নবীজীর বাণী থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘কোন মুসলমান কোন ফসলের গাছ বা বাগিচা লাগালে বা ক্ষেতে শষ্যের বীজ বপন করলে তা হতে কোন মানুষ বা পশু পাখি খায়, এমনকি যদি চোরে চুরি করেও নিয়ে যায় তবে ঐ বাগানের মালিক এবং ছদকার সওয়াব পাবে’ -আল হাদিস
মেয়র আরো বলেন, বনজ ও ফলজ বৃক্ষ মানবজীবনে আল্লাহর অফুরন্ত দান। বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের এ যুগে ঘূর্ণিঝড়, জ্বলোচ্ছাস, ভূমিকম্প সহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য পৃথিবীকে বাসোপযোগী করার জন্যই বৃক্ষরোপন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে নগরীকে সবুজ বেষ্টনির মধ্যে আনা হবে। সড়ক,ফুটপাত,গোলচত্বর,যাবতীয় অফিস আদালত, সরকারী বেসরকারী স্থাপনা, লন, আঙ্গীনা সর্বত্র পরিকল্পিত সবুজায়নে ঢেকে দেয়া হবে। নগরী হবে প্রকৃত অর্থে গ্রিন সিটি। আধুনিক প্রযুক্তি ও মনোরম সবুজে সাজবে চট্টগ্রাম। সবুজায়ন কর্মসুচি চলছে-চলবে।
১ আগষ্ট থেকে নগরীর ৭টি ওয়ার্ডে ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ ও ডাম্পিং কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ কর্মসুচি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন হবে। এ লক্ষ্যে জনবল নিয়োগ, ভ্যানগাড়ী ও বিন সংগ্রহ চলছে। তিনি পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রামের স্বার্থে সকলকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে সহযোগি হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে মেয়র বিভিন্ন শিক্ষার্থী,পেশাজীবি ও স্থানীয়দের মাঝে গাছের চারা বিতরন করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ৪১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ছালেহ আহমদ চৌধুরী, জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো. জিয়াউল হক সুমন। প্রধান বক্তা ছিলেন ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব।