চট্টগ্রাম : বহুল আলোচিত “আইনসি” বৈধ পন্থায় আমদানী শুরু হয়েছে  টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্যের মাধ্যমে  । মিয়ানমার থেকে সীমান্ত বাণিজ্যের মাধ্যমে আমদানী করা সাড়ে ৪ মেট্রিক টনের প্রথম চালা  গতকাল  টেকনাফ স্থল বন্দরে এসেছে ।
বিশেষ ধরণের এই “আইনসি” আকারে জায়ফলের চেয়ে সামান্য বড়, তবে চেপ্টা। রং লাল। ছোট বড় সাইজের রয়েছে। প্রচলিত নাম “আইনসি” হলেও বৈজ্ঞানিক নাম কেউ জানেনা। উপকারিতা-অপকারিতা সর্ম্পকেও মতামত পাওয়া যাচ্ছেনা। দেশে প্রচলিত ঔষধী এবং ফলের তালিকায়ও এর নাম নেই। অথচ শুধু টেকনাফে নয়, বিদেশেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। সিদ্ধ করে মসলা-তেল দিয়ে ভেজে খাওয়া হয়। খেতে সামান্য তিতা ও কষ। বিদেশ ছাড়া শুধু টেকনাফেই প্রতিদিন শত শত টনের চাহিদা রয়েছে। দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। কেবল মাত্র বছরের এই সময়ে ফলটি পাওয়া যায়। মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে প্রতি দিন শত শত মেট্রিক টন “আইনসি” আসছে। টেকনাফের স্টেশনে অলিতে-গলিতে কাঁচা এবং সিদ্ধ করা রাতদিন বিক্রি হচ্ছে। ইতিমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একাধিকবার অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ “আইনসি” আটক করেছে। কিন্ত চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে চোরাইপথে আসা বন্ধ হচ্ছেনা। আগের তুলনায় এখন আরও বেশী আসছে। ভোক্তার সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি অনেকে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বসত ভিটায় রোপন করছে। বেশ কয়েকটি গাছে ফলন হয়েছে বলেও জানা গেছে। টেকনাফ থেকে প্যাকেট ভরে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশে। দামও নেহায়েৎ কম নয়। আগে সস্তা থাকলেও চাহিদা এবং ভোক্তার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে টেকনাফে কাঁচা “আইনসি” সর্বনিম্ম ৩ থেকে ৫ টাকা এবং সিদ্ধ করা সর্বনিম্ম একটা ৫ টাকা। গণণায় বেচা-কেনা হয়, কেজি হিসাবে বেচা-কেনা হয়না। এই “আইনসি” আবার পুরুষের চেয়ে মহিলাদের বেশী পছন্দ বলে জানা গেছে। যারা নিয়মিত খেতে অভ্যস্থ তাঁদের মতামত ভিন্ন ধরণের। কেউ বলেন এটি খেলে মুখে রুচি আসে। কেউ বলেন এটি খেলে পেশাব-পায়খানা ক্লিয়ার হয়, পেঠ ভাল থাকে। আবার কেউ বলেন এমনিই খাই, না খেলে ভাল লাগেনা। এটি টেকনাফে যুগ যুগ ধরে চলে আসলেও স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, জনস্বাস্থ্য বিভাগ এনিয়ে মাথা ঘামায়নি। তবে চাহিদা মেঠাতে শেষ পর্যন্ত বৈধ পন্থায় আমদানী করার সুযোগ পেয়েছে। সরকার রাজস্ব পাবে আর এতে “আইনসি” ব্যবসায়ীগণও খুব খুশী।
টেকনাফে নবাগত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ সুমন বড়–য়া এবং উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম এসম্পর্কে বলেন ফলটি দেখেছি। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে ও কৃষির তথ্যে এর কোন নাম বা গুণাগুন পাওয়া যায়না। মানুষে কেন খায় তাও বুঝিনা। টেকনাফ উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শফিউল আলম কুতুবী বলেন আইনসি এবং চারা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্ত এখনও রিপোর্ট আসেনি।
Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031