‘সময় যত কঠিন হোক না কেন দুর্নীতি হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন ।’
মঙ্গলবার ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি, গুদামের খাদ্যপণ্য অবৈধভাবে বিক্রি ও আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগে গৃহীত আইনি কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করার সময় তিনি কর্মকর্তাদের এ কথা বলেন।
এ সময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে অফিস পরিচালনার জন্য দুদক কর্তৃক গঠিত ভিজিল্যান্স কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি ছুটি চলাকালে সরকারি ত্রাণ বিতরণে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা, বগুড়া, রংপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, শেরপুর, বরগুনা, নড়াইল, শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। এসব নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রমে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচরীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করায় তাদেরকে ধন্যবাদ।’
ইকবাল মাহমুদ আরো বলেন,দুর্নীতির অভিযোগ জানানোর সকল চ্যানেল খোলা রয়েছে। গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যম, দুদকের গোয়েন্দা তথ্যসহ সাধারণ মানুষের অভিযোগ নিয়মিত বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। দুর্নীতি করে পার পাওয়ার সুযোগ কেউ পাবে না। প্রতিটি অভিযোগ বিচার-বিশ্লেষণ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতি করে কেউ যেন শান্তিতে থাকতে না পারে, সে ব্যবস্থা কমিশন করবে। অতি লোভী ঘৃণ্য এসব অপরাধীদের আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করতেই হবে।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস পরিচালনার বিষয়ে কমিশন কর্তৃক গঠিত ভিজিল্যান্স টিমের কার্যক্রম বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কমিশন মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই থার্মাল স্ক্যানার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহসহ বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। তারপরও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কমিশনের দুজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।’
তিনি বলেন, ‘সামাজিক দূরত্বসহ সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অফিস পরিচালনা করতে হবে।
ফাইল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল প্রকার যোগাযোগ করা হবে।’