ঢাকা: র্যাবের তালিকায় নিখোঁজ ওয়াকি চৌধুরী গত ৭ মার্চ উচ্চশিক্ষার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাড়ি জমান। নিয়মিতই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ওয়াকির বাবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাহিদ আহমেদ চৌধুরী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, তারা বুঝতে পারছেন না ছেলের নাম কেন নিখোঁজের তালিকায়।
বুধবার সেগুনবাগিচায় নিজ বাসায় এই প্রতিবেদককে জাহিদ আহমেদ বলেন, “আমার দুই ছেলে, এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ওয়াকি। সে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পড়ে ভর্তি হয় এলসিএসে। ওখান থেকে ও লেভেল, এ লেভেল এবং এলএলবি পড়ে সে উচ্চশিক্ষার জন্য যায় তুরস্কে। তাহলে সে নিখোঁজ হলো কোথায়?”
এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াকির বাবা বলেন, “আমি তো থানায় সাধারণ ডায়েরিও করিনি। তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোথায় পেল আমার ছেলে নিখোঁজ?”
জাহিদ আহমেদ অবশ্য এ জন্য র্যাব বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করছেন না। তিনি বলেন, “হয়তো কেউ শত্রুতা করে র্যাবকে ভুল তথ্য দিয়েছে। এ জন্য এটি নিখোঁজের তালিকায় রেখেছে।”
সম্প্রতি জঙ্গি তৎপরতায় সম্পৃক্ততার প্রবণতা বাড়ছে তরুণদের মাঝে। গুলশান ও শোলাকিয়া হামলায় জড়িত পরিবারের কাছে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানা যায়। এরপর সারা দেশে আরও অনেক তরুণ নিখোঁজ বলে খবর বেরিয়ে আসে। এতে উদ্বেগ বাড়ে অভিভাবক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের। নিখোঁজ কয়েকজনের ছবি দিয়ে ইতোমধ্যে টেলিভিশনসহ গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে।
পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর গোয়েন্দারা নিখোঁজদের তালিকা তৈরি করছে বলেও জানিয়েছে সরকার। আর গত মঙ্গলবার রাতে এমন একটি তালিকা প্রকাশ করে র্যাব। ২৬২ জনের ওই তালিকায় ১৯৭ নম্বরে আছে ওয়াকি চৌধুরীর নাম। তালিকায় তার বাবার নাম লেখা হয়েছে জাহিদ আহমেদ চৌধুরী। বর্তমান ঠিকানায় লেখা হয়েছে, ৫ সেগুনবাগিচা, শাহবাগ, ঢাকা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলেন, “আমরা আসলে নিখোঁজের এই তালিকা তৈরি করেছি বিভিন্ন থানা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। এখন যদি কেউ ফেরত আসে কিংবা কারও সন্ধান পাওয়া যায়, তা জেনে আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করে তালিকা হালনাগাদ করব।”