ভুক্তভোগী অভিভাবকদের অভিযোগ, ১ম শ্রেণির তামান্না আক্তারের নামে আসে ৯শ’ টাকা কিন্তু তাকে দেওয়া হয়েছে ৩শ’। ১ম শ্রেণির ইয়াতিম ছাত্র আব্দুল্লাহ পেয়েছে ৩শ’ অথচ স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে ৯শ’ টাকার বিপরীতে। ৩য় শ্রেণির সাদিয় আক্তারকে দেওয়া হয়েছে ৬শ’। তার নামে বরাদ্দ রয়েছে ১২শ’। ৪র্থ শ্রেণির হাফিজুর মীরের নামে ১২শ’ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও তাকে দেওয়া হয়েছে ৬শ’। ৪র্থ শ্রেণির চাঁদনী ও তার ভাই রাব্বির নামে ২৪ টাকা মাষ্টার রোলে পরিশোধ দেখানো হলেও তাদেরকে দেওয়া হয়েছে ১৮শ’ টাকা। ৪র্থ শ্রেণির সিফাত উল্লাহর পিতা চান মিয়া বলেন, তার ছেলের নামে ১২শ’ টাকা মাষ্টার রোলে পরিশোধ দেখিয়ে দিয়েছে মাত্র ৫শ’। ৩য় শ্রেণির ছাত্র সজীবের মা মনিরা বেগম জানান, তার ছেলের নামে মাষ্টার রোলে ১২শ’ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে দিয়েছে মাত্র ৬শ’ টাকা। অভিভাবক শাহিনুর বেগমের তিন সন্তানের নামে ২৭শ’ টাকা পরিশোধ দেখালেও মাত্র ১৫শ’ টাকা হাতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, খুব দ্রুতই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা অফিসার মো. আনিসুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য পাওনা যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। যদি কেউ অনিয়ম করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা খালেদা বেগম বলেন, টাকা বিতরণ এখনো চলছে। অনেকে কিছু টাকা কম পেয়েছে তা পরিশোধ করা হবে।