ঢাকা : নিম্ন বর্ণের দলিত পরিবারের ২১ বছর বয়সী কলেজে পড়ুয়া ওই তরুণী হরিয়ানা রাজ্যের রোহতাক শহরে এ ঘটনার শিকার হন। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ওই পাঁচ ধর্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা লড়ছিলেন ওই নারী। এর মধ্যেই বুধবার তিনি ফের হামলার শিকার হন। তিনি জানান, তাকে জোর করে একটি একটি গাড়িতে তুলে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার চেষ্টা করা হয়।
এরপর মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এক পথচারি তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তাকে ২০১৩ সালে ভিওয়ানি শহরে প্রথমবার ধর্ষণ করা হয়েছিল। তার পরিবার বলেছে, অভিযুক্তদের হুমকির মুখে তারা রোহতাক শহরে চলে গিয়েছিল। অভিযুক্তরা জামিনে মুক্ত ছিল।
স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে ধর্ষণের শিকার তরুণীটি বলেছেন, “কলেজ থেকে চলে আসার সময় আমি তাদেরকে দেখতে পাই। তারা ওই একই পাঁচ ব্যক্তি। খুব ভয় পেয়ে যাই।। তারা আমার গলা টিপে ধরে এবং আমার বাবা ও ভাইকে হত্যার হুমকি দেয়।”
“তারা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল জানিনা। কিন্তু তারা ওই পাঁচজনই ছিল।”
মেয়েটির পরিবার বলছে, অভিযুক্ত পাঁচ ধর্ষণকারী ধর্ষিতা ও তার পরিবারের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য।
এর আগে রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক মেডিকেল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর ভারতে ধর্ষণকারীদের বিচারের জন্য কঠোর আইন প্রণীত হয়