ওজন কমানো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, বদহজম, সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকতে চাইলে খান সবুজ শাক সবজি। আমাদের ঘরেই এমন অনেক জিনিস আছে যা অতি সহজে আপনাকে বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে রেহাই দিতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সবুজ শাক সবজি।
যারা বহুদিন ধরে সর্দি কাশিতে ভুগছেন বা যাদের সহজেই ঠাণ্ডা লাগার ধাত তাদের জন্য মুলো, আদা. রসুন, তুলসী, গাজরের রস রামবানের কাজ করতে পারে।
সবুজ শবজি শরীরে জমে থাকা মেদ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এমন অনেক সবজি আছে, যা শুধুমাত্র ওজন কম করতেই সাহায্য করে তাই নয়, সেই সঙ্গে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। আপনার ত্বক, চুল, বদহজম, উচ্চ রক্তচাপ সবকিছুর জন্যই সবুজ শাক-সবজির জুড়ি মেলা ভার।
অনেকেরই ধারণা প্রচুর হাঁটলে, কাজ করলে আলাদা করে ব্যায়ামের দরকার নেই। অনেকে আবার এও বলেন, প্রচুর হাঁটাচলা, খাটাখাটনির পরেও রোগা হচ্ছেন না কিছুতেই।
যারা ওজন কমাতে চান তারা সকালবেলা খালি পেটে লেবুর পানি পান করুন। উষ্ণ জলে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে অবশ্যই উপকার পাবেন। এছাড়া আছে লাল রসালো সবজি, এটি একটি কম ক্যালোরি যুক্ত আহার। যার মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুবই কম থাকে।এর মধ্যে জলের মাত্রা বেশি থাকার জন্য পেট ভরা ভরা লাগে। সেই সাথে হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
গাজর, আঙুর, মুসাম্বি ও জোয়ারের রস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রামবানের কাজ করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা আছে, তারা নিজেদের ডায়েটে এই ধরনের উপাদান গুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
যাদের নিম্ন রক্তচাপ জনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য মিষ্টি ফলের রস খুবই উপকারী। তবে টক জাতীয় ফলের থেকে দূরে থাকবেন। আঙুর ও মুসাম্বির রস আপনার জন্য খুবই উপকারী।
পেটের সমস্যা হোক বা কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজমের জন্যও গাজর, পালং, শসা, মুসাম্বি, কমলালেবু এবং মরশুমি ফল ও সবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে করে আপনার পিটার সমস্যা দূর হবে ও শরীর সুস্থ সবল থাকবে। চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু গাজর ও ধনেপাতার রস ঠাণ্ডার সময় আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত।