বাইরে থেকে আমগুলো পাকা দেখা গেলেও ভেতরে সেগুলো সম্পূর্ণ অপরিপক্ক। অপরিপক্ক আম রাসায়নিক কেমিকেল দিয়ে পাকানো হচ্ছিল। আম বিক্রির মৌসুম শুরু না হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে তা বাজারে বিক্রি করেছিল। এমন অভিযোগের রাজধানীর বাদামতলীর ফলের আড়তে অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার সকাল থেকে চলা অভিযান শেষ হয় বিকাল সাড়ে পাঁচটায়। অভিযানে আম ও মেয়াদোত্তীর্ণ ৪৪ টন খেজুর জব্দ এবং ১২ আড়তদারকে ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব-১০ এর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারওয়ার আলম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বাজারে এখনো পরিপক্ক আম আসতে ১০ থেকে ১৫ অপেক্ষা করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় অপরিপক্ক আম কেমিকেল দিয়ে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করছিল। বাইরে থেকে আমগুলো হলুদ টসটসে দেখা গেলেও ভেতরে একদম অপরিপক্ক। এগুলো সব রাসায়নিকে পাকানো। যা খেলে মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করবে। আমরা যেসব আম জব্দ করেছি সেগুলো দেড় সপ্তাহ পর বাজারে এলে পরিপক্ক হতো।’
সারওয়ার বলেন, ‘অভিযানে ১২টি আড়ত থেকে ৪০ টন আম এবং চার টন খেজুর জব্দ করা হয়। পাশাপাশি দায় স্বীকার করায় ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা, তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং চার আড়ত সিলগালার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’