ঢাকায় নিযুক্ত সাত বিদেশি রাষ্ট্রদূত সংকটকালীন সময়ে বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচার নিশ্চিতে মুক্ত গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তারা প্রায় একইরকম বার্তা সম্বলিত টুইট করেন নিজ নিজ একাউন্ট থেকে। এতে তারা বলেন, বর্তমানে যে মহামারি চলছে এ সময়ে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা তথা মানুষের স্বার্থ নিশ্চিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। পাশাপাশি দেশে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহবান জানান তারা। কোনো গণমাধ্যমকর্মীর যাতে কন্ঠরোধ না করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেন ওই সাত রাষ্ট্রদূত।
বৃহস্পতিবার যেসব রাষ্ট্রদূত এ বিবৃতি প্রদান করেন তারা হলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শারলোটা স্লাইটার, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন ও ডাচ রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েইজ।
তাদের টুইটে সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করা হয়। ইউরোপীয় এক রাষ্ট্রদূত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়েরের কথা জানান। বৃটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট ডিকসন তার টুইটে বলেন, গণমাধ্যম যাতে তার কাজ করতে পারে এবং মানুষ যাতে মত প্রকাশে স্বাধীন থাকে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ন।
ইউরোপীয় ইয়নিয়নের দূত রেন্সজে তেরিঙ্ক বলেন, সংকটকালীন সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সব কিছুর থেকে বেশি জরুরি। মানুষের অবশ্যই সত্য ও তথ্যনির্ভর সংবাদ জানার সুযোগ থাকতে হবে।