অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের কেন্দ্রস্থলে পুলিশের দুঃসাহসী অবৈধ অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার অভিযানে ৩জন চিহ্নিত দুবৃর্ত্ত নিহত হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে সন্ত্রাসী জনপদ, অবৈধ অস্ত্র তৈরীর কারখানা, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, । এসময় ৫জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ এই আস্তানা হতে দেশী-বিদেশী ১৮টি অস্ত্র ও বিপূল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা
যায়, ৬ মে ভোরে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ নেতৃত্বে ও এসআই
মশিউর রহমানসহ টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের বিরাট একটি দল উপজেলার হ্নীলা
রঙ্গিখালী গাজী পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র তৈরীর কারখানা,মাদক চোরাচালান
নিয়ন্ত্রণ, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের কেন্দ্রস্থলে অভিযানে গেলে
স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশের
ইন্সপেক্টর লিয়াকত, মশিউর রহমান, সনজিব দত্ত, সৈকত বড়–য়া, মিথুন ভৌমিক আহত
হয়। তখন পুলিশ কৌশলী অবস্থান নিয়ে শক্তি সঞ্চয়ের পর পাল্টা গুলিবর্ষণ করে
হামলা চালালে স্বশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যায়। তখন পুলিশ অস্ত্র
তৈরীর কারখানায় তল্লাশী করে ১৮টি দেশী-বিদেশী অবৈধ অস্ত্র, ২শ রাউন্ড গুলি,
৫৫ হাজার ইয়াবাসহ রঙ্গিখালী মাদ্রাসা পাড়ার মৃত আব্দুল মজিদ ওরফে
ভুলাইয়্যা বইদ্যের পুত্র নুরুল আলম (৪০), ছৈয়দ আলম (৩৫) ও শব্বির আহমদের
পুত্র আব্দুল মোনাফ (২০) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরে আহত
পুলিশ সদস্য এবং উদ্ধারকৃত সন্ত্রাসীদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর
হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ
সন্ত্রাসীদের আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা
হয়। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ
মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই
ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত স্বাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া
চলছে।