সরকার জাতীয়ভাবে লকডাউনের মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। সমগ্র বাংলাদেশ জুড়েই মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। আবার একই সাথে রফতানি-নির্ভর গার্মেন্ট কারখানা খুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে নিশ্চিতভাবেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। অনেকেই মারা গেছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত মাত্রায় টেস্ট না করানোয় ধারণা করা হচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
অন্তত মে মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৬ কোটি ১০ লক্ষ মানুষকে রাস্তায় না বেরুতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অনেক পরিবার যারা একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটির (যে এখন কাজ করতে পারছে না) উপর নির্ভর করে, এখন আশায় আছে শেষ পর্যন্ত তারা সরকার থেকে সরাসরি সাহায্য লাভ করবে।
বাংলাদেশের গার্মেন্ট কারখানাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। সরকারের অনুমতির পর হাজার হাজার শ্রমিক সোমবার কাজে ফিরেছেন। ব্যবসায়ী নেতারা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও শ্রম অধিকার বিষয়ক কর্মীরা শ্রমিকদের জন্য ঠিকমতো সুরক্ষার ব্যবস্থা চান।
শ্রমিকরা এখন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কাছাকাছি বসে একসাথে কাজ করছেন।
স্বাস্থ্য
বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশে করোনায় সংক্রমণের হার শিগগিরই
খুব বেড়ে যেতে পারে। সুতরাং তাতে লকডাউনের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে।
ভাইরাস
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যাপ্ত টেস্ট করা হচ্ছে না যেটি করলে আক্রান্তদের
প্রকৃত সংখ্যা বেরিয়ে আসতো, সার্বিক অবস্থাও স্পষ্ট হতো।
চিকিৎসকদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বোঝা নিয়ে হিমশিম খাওয়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে গিয়েছে।
আল জাজিরা থেকে অনূদিত।