এক দুর্বৃত্ত ছয় বছরের এক শিশুকে পাঁচতলা ভবনের ছাদে ধর্ষণ করে ফেলে যায় । অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঘটনার রহস্য মিলছিল না। পরে এলাকার ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।
ফুটেজে ঘটনার দিন এক যুবককে ওই শিশুর হাত ধরে নিয়ে যেতে দেখা যায়। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে যুবকের মুখে মাস্ক পড়া থাকায় তাকে শনাক্তে বিপাকে পড়ে পুলিশ।
পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে মাস্ক পরা যুবকের ছবি শিল্পীকে দিয়ে স্ক্যাচ করানো হয়। ওই স্ক্যাচ ছবি দেখেই শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত টুটুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৫ এপ্রিল রাজধানীর কদমতলীর মুরাদনগর এলাকায় ছয়বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের পর তাকে একটি পাঁচতলা ভবনের ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করে। বর্তমানে শিশুটির শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।
শুক্রবার রাতের অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ডিএমপির শ্যামপুর জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহ আলম ও কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান খান, একই থানার এসআই আব্বাস উদ্দিন ও এএসআই ওয়ালী উল্লাহ।
পুলিশ কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ‘করোনা প্রভাবের মধ্যে ছোট্ট শিশুকে এভাবে ধর্ষণ মেনে নিতে পারছিলাম না। শুরু করি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান। কিন্তু কোনো ক্লু পাচ্ছিলাম না। পরে এলাকার ১৬টি সিসিটিভি থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করি। কিন্তু তাতে একজনকে শনাক্ত করা হলেও তা মুখে মাস্ক ছিল। ফলে সহজে চেহারা বোঝা যাচ্ছিলো না।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার এক বন্ধুকে ডেকে এনে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ওই যুবকের ছবি স্ক্যাচ করি। পরে সন্দেহভাজন যুবকের স্ক্যাচ আঁকা ছবি দিয়ে একশ পোস্টার এলাকায় সাটানো হয়। পোস্টার দেখে একজন ফোন করে ওই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করে। এরপরই শুক্রবার গভীররাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে অকপটে সব স্বীকার করেছে।’
অভিযুক্ত টুটুলের বাসা মুগদা এলাকায়। সে কদমতলীতে তার নানা ও খালার বাসায় মাঝে মাঝে ঘুরতে আসত। ২৫ এপ্রিল শিশুটিকে একটি বাসার ছাদে নিয়ে সে ধর্ষণ করে আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেপ্তার টুটুল চুরি, ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বলে জানান পুলিশের এসি শাহ আলম।