করোনায় মৃত্যুবরণ করা পুলিশের এএসআই আবদুল খালেকের জানাজা নামাজ পড়ান বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন । জানাজা শেষে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মরহুমের নিজ বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালি গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়। সাংসদ রিমনের করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির জানাজা নামাজ পড়ানোর ভিডিও মুহর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইমবুকে ভাইরাল হয়।
এসময় মরহুম আবদুল খালেকের জানাজা নামাজে আরো অংশগ্রহণ করেন, বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহজাহান হোসেন, বেতাগীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব আহসান, বেতাগী থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন তপু প্রমুখ।
এছাড়াও জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ করেন মরহুমের স্বজনরা। জানাজা নামাজ শেষে তার স্বজনরা মৃতদেহ দাফন করেন।
এরপর মরহুমের ছেলে-মেয়ে এবং স্ত্রীসহ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এমপি ও এসপিসহ উপস্থিত পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা মরহুমের স্বজনদের সান্তনা দেওয়ার পাশাপাশি বিপদ-আপদসহ সব সময় তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় মরহুমের পরিবারকে নগদ অর্থসহ খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয় বরগুনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
ডিএমপির পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণে কর্মরত এএসআই আব্দুল খালেক (৩৬)। এএসআই আব্দুল খালেকের ২৮ এপ্রিল করোনা উপসর্গ দেখা দিলে আইইডিসিআর ওই দিনেই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে এবং ২৯ এপ্রিল তাঁরও নমুনা টেস্ট রিপোর্টে কভিড-১৯ পজেটিভ আসে।
এরপর থেকে তাঁকে আরামবাগ হোটেলে আইসোলেশনে রাখা হয়।
বুধবার দিবাগত রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কেন্দ্রীয়
পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
ভোরের দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের এই সদস্য
বরগুনা জেলার বেতাগী থানার ঝোপখালী গ্রামে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর
পিতার নাম মৃত. আজিজ মৃধা। তিনি ২০০৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে
যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য
গুণগ্রাহী রেখে যান।