প্রাথমিক অবস্থায় ১৫০ বাংলাদেশির দণ্ড কমিয়ে মুক্তি দেয়া হলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ১৩৮ জনকে বিমানে তোলা হয়েছে। করোনার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তাদের নিজ নিজ জেলখানা ও ডিটেনশন সেন্টারগুলো খালি করছে। তারই অংশ হিসাবে ১৩৮ বাংলাদেশির কারাদণ্ড মওকুফ করে ঢাকায় ফেরত পাঠিয়েছে বাহরাইন । সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বাহরাইন সরকারের ভাড়া করার গাল্ফ এয়ারের একটি স্পেশাল ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় পৌঁছে দেয়া হয়। মানামায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাকীদের যখন সময় হবে তখন দেশে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মাস্কাটের জেলে থাকা ২৯২ বাংলাদেশিকে স্পেশাল ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয় ওমান সরকার। তারও আগে সৌদি আরব চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ওমরাহ করতে গিয়ে আটকে পড়া ১৪৪ বাংলাদেশির সঙ্গে ১৬৮ প্রবাসী, যারা বিভিন্ন অপরাধে কারাগারে ছিলেন তাদের স্পেশাল বিমানে তুলে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। যদিও ঢাকা চেয়েছিল করোনার এই কঠিন মুহুর্তে কোনো প্রবাসী ফেরত না আসুক।
বিশেষ করে জরুরি ভিত্তিতে তৈরি হতে যাওয়া ৪০০০ প্রবাসী বা বিদেশ ফেরতের একসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সুবিধার কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় চেয়েছিল বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করোনা সেলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব ড. খলিলুর রহমান অবশ্য এটাকে রুটিন মাইগ্রেশন বলছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, এটি করোনা সংকটের কঠিন সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জেলখানা খালি করা সংক্রান্ত উদ্যোগেরই অংশ। এটি অব্যাহত থাকলে লাখ খানেক বাংলাদেশি কেবল মধ্যপ্রাচ্য থেকেই ফিরবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী।