বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ করোনাভাইরাসে ঘরবন্দি । এমন অবস্থায় পৃথিবী যেন নতুন করে শ্বাস নিচ্ছে। নিজেই নিজের ক্ষত সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছে। তারই একটি নতুন উদাহরণ হলো বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে, উত্তর মেরুর আকাশে ওজন স্তরে তৈরি হওয়া ১০ লাখ বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল গর্ত নিজে থেকেই সারিয়ে তুলেছে পৃথিবী।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন যে উত্তর মেরুর ওপরে ওজন স্তরে দশ লাখ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। যা এ যাবৎকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। কম তাপমাত্রার কারণে এটি হয়ে থাকতে পারে জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এটি যদি বায়ু স্রোতের কারণে দক্ষিণ মেরুতে চলে আসতো তবে এর দ্বারা সরাসরি মানবজাতি হুমকির মুখে পড়তো।
সম্প্রতি ইইউর পক্ষ থেকে কপারনিকাস অ্যাটমসফিয়ার মনিটরিং সার্ভিস (সিএএমএস) ও কপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সি৩এস) নিশ্চিত করেছে যে, আশঙ্কা সৃষ্টিকারী এ গর্তটি নিজে থেকেই মিলিয়ে গেছে। এক টুইটবার্তায় এর কারণ ও ছবিসহ উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
কোপার্নিকাস ইসিএমডব্লিউএফ ব্যাখ্যা করে যে, এই বছরে পোলার ঘূর্ণিটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল যার অভ্যন্তরে খুব শীতল তাপমাত্রা ছিল। এর ফলে স্ট্র্যাটোস্ফেরিক মেঘ জেনারেশন হয় যা সিএফসি গ্যাসগুলির সাথে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ওজোন স্তরটিকে ধ্বংস করে দেয়।
এখন সেই পোলার ঘূর্ণি দুর্বল হয়ে গেছে, যার ফলে মেরু অঞ্চলে ওজোন স্তরটিতে স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে।
কোপার্নিকাস ইসিএমডব্লিউএফ পূর্বাভাস দিয়েছে যে, এটি আবার তৈরি হবে, তবে ওজোন স্তরে তেমন প্রভাব ফেলবে না।