খেজুর একটি অপরিহার্য উপাদান রমজানে ধনী-গরিব নির্বিশেষে ইফতারের তালিকায়। একটি চক্র এজন্য রমজানকে টার্গেট করে বাজারে পচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর ছেড়ে দিয়েছে। অনেক আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া খেজুরকে পুনরায় প্যাকেট করে তারা বাজারে ছাড়ছে।
রবিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের চালানো ভেজালবিরোধী অভিযানে উঠে এসেছে এমন চিত্র। বাদামতলীর ফলের আড়তে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই বছর আগে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া পচা, গলা ও পোকাযুক্ত খেজুর জব্দ করে র্যাব।
এই অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা ও দুই টন খেজুর জব্দ করা হয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১০।
সারওয়ার বলেন, রমজানে দেশে বিপুল পরিমাণ খেজুরের চাহিদা থাকে। এই সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা পচা ও মানহীন খেজুর বাজারজাত করছে। বাড়তি মুনাফার লোভে যারা মানুষকে ঠকাচ্ছে তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তাছাড়া এসব খেজুর খেলে হজম সমস্যা হওয়াসহ ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, অভিযানে আমরা দেখেছি মেয়াদহীন নষ্ট খেজুর নতুন কার্টুনে ভরে প্যাকেটিং করা হচ্ছে। বাইরে থেকে এটা দেখলে কেউ ধরতে পারবে না ভিতরে নষ্ট ও ফাঙাস পড়া খেজুর রয়েছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- মেসার্স রাফিয়া এন্টারপ্রাইজ ও মনির এন্টারপ্রাইজ।