দেশও কার্যত লকডাউন করোনার প্রকোপে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবুও শুধু চাকরি বাঁচাতে দলে দলে ফের ঢাকা বা আশুলিয়ার পথে যাত্রা করেছে অসংখ্য গার্মেন্ট শ্রমিক। শনিবার ( ২৫ শে এপ্রিল) দুপুর ১২ থেকে ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর অংশে দেখা যায় এমন অসংখ্য গার্মেন্ট শ্রমিকদের চলমান লম্বা লম্বা লাইন ও কোথাও কোথাও আবার অটোরিক্সা ঘিরে জটলা।
অভিজ্ঞতা বর্ণনায় জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থেকে রওনা হওয়া নাহিদ নামের এক যুবক বলেন, অফিস থেকে ফোন দিয়ে তাকে জানানো হয়েছে রোববার (২৬শে এপ্রিল) গার্মেন্ট খোলা। তাই সকাল ৭ টায় বাড়ি থেকে আশুলিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। পায়ে হেটে ও রিক্সাযোগে মির্জাপুর পর্যন্ত পৌছতে তার প্রায় সাড়ে ৮ ঘন্টা সময় লেগেছে বলে জানান তিনি।
ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা আরেক গার্মেন্ট শ্রমিক জানান, “অফিস থেকে ফোন দিয়ে বলছে কাল (রোববার) কাজে যোগ না দিতে পারলে এই মাসের বেতন দিবোনা। তাই যেভাবে পারি ঢাকা আমার যাইতেই হবে।

গোপালপুর থেকে এই পর্যন্ত ( মির্জাপুর) আইতে আমার প্রায় ৩শ টাকা খরচ হইছে, সময় লাগছে ৪ ঘন্টারও  বেশী। এখন ঢাকা যাইতে পারলেই বাঁচি।”
এভাবেই ১ ঘন্টার রাস্তা ৪ ঘন্টায় আর পরিবহন খরচ ৫০ টাকার জায়গায় ৫শত টাকা খরচ করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার পথে ছুটে চলেছেন হাজার হাজার গার্মেন্ট শ্রমিক। এই সুযোগে মহাসড়কে রাজত্ব কায়েম করছে অটো রিক্সাগুলো। যে যেভাবে পারছে আদায় করছে গলা কাটা ভাড়া। কিন্তু শ্রমিকদের উপায় নেই। যেতেই হবে গন্তব্যে!
যদিও শুক্রবার রাতে বিজিএমইএর সভাপতি তার সদস্যদের উদ্দেশ্যে এক বার্তায়, পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এছাড়া মালিকদের প্রতি গ্রাম থেকে শ্রমিকদের ঢাকায় না আনারও অনুরোধ জানানো হয় ওই বার্তায়।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুর রহমান বলেন, মহাসড়ক দিয়ে দলে দলে গার্মেন্ট শ্রমিক যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানতো বন্ধ। তাহলে তারা কি উদ্দেশ্যে যাচ্ছে সেটিও তার বোধগম্য নয় বলে তিনি জানান।

Share Now
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031