এক ইউপি সদস্যের বাড়ির পিছনে লুকিয়ে রাখা হত দরিদ্রদের ১০টাকা কেজির ৫০ বস্তা চাল কাড়াকাড়ি করে নিয়ে গেছে গ্রামের দরিদ্র লোকজন।
ঘটনাটি ঘটেছে তারাকান্দা উপজেলার গাঁলাগাও গ্রামের মেম্বার আবুল খায়েরের বাড়ির পাশে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গালাগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া জানান, মেম্বার আবুল খায়েরের বাড়ির পিছনে গর্তের মধ্যে লতাপাতা দিয়ে ডাকা অনেক গুলো চালের বস্তা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে খবর দেয়। পরবর্তীতে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, গ্রামের অনেকেই এই চালের বস্তা কাড়াকাড়ি করে নিয়ে গেছে। এই চাল কোথা থেকে এসেছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই চাল হতদরিদ্রের ১০ টাকা কেজির চাল। সরকার চালের ব্যাপারে কঠোর হওয়ায় কেউ হইতো এখানে লুকিয়ে রেখেছে। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গালাগাও গ্রামের আমিন, হারেছ, আশরাফুল, সেলিম, মিমতা উদ্দিন, মাইন উদ্দিন, নরুদ্দিন ও রফিক সহ আরো অনেকে ১/২ বস্তা করে চাল বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। এসময়, আমিন ও হারেছ জানান- মেম্বারের বাড়ির পাশে একটি গর্তে লুকিয়ে রাখা চালের বস্তা অনেকেই কাড়াকাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছে।
আমরাও দুই বস্তা এনেছি।
চালের বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল খায়ের বলেন, কার চাল তিনি সেটা জানেন না।
গালাগাও
ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি চালের ডিলার আব্দুর রহমান তালুকদার
জানান, আমি গত চার- পাঁচ দিন আগে চাল দিয়ে শেষ করে ফেলেছি। এই চাল কার আমি
বলতে পারব না
তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের বলেন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তারাকান্দা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিত্রা শিকারী জানান, এলাকাবাসী চাল কাড়াকাড়ি
করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে দেখা হবে এই চাল কোথা থেকে
এসেছে এবং এই ইউনিয়নে কোন ভুয়া কার্ডধারী রয়েছে কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করে
বাতিল করা হবে।