পুরো ইতালিই এখন মৃত্যুপুরী করোনা ভাইরাসের তান্ডবে। একের পর এক আসছে মৃত্যুর সংবাদ। আর ঠিক সে কঠিন দুঃসময়ে কিনা একের পর এক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে আসছিলো এক যুবক! তাও আবার বাংলাদেশী যুবক। কিন্তু কথায় আছে চোরের দশ দিন, গৃহস্থের একদিন। অবশেষে ধরাও পড়েছে সেই যুবক।
মিলান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই রাস্তার পাশের পার্কিংয়ে রাতে একের পর এক রহস্যজনক অগ্নিকান্ডে গাড়ি পুড়ে যাবার ঘটনা ঘটতে থাকলে নড়েচড়ে বসে সেখানকার পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে গাড়িগুলোতে অস্বাভাবিকভাবে লাগছে। অবশেষে ১৭ এপ্রিল শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় নেপথ্যের অপরাধীটিকে।
সে রাতে সাদা পোশাকে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা জুড়ে কড়া নজরদারি বসায় পুলিশ। রাত দেড়টার দিকে তাদের নজরে আসে এক যুবক একটি গাড়িতে খুব দ্রুত আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে পেট্রোলে ভেজানো কাপড় দিয়ে।
দুজন পুলিশ গিয়ে সাথে সাথেই ধরে ফেলে তাকে।
আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে পুলিশ অবশ্য তার নামধাম প্রকাশ করেনি। শুধু বলা হয়েছে তার বয়স ২২ বছর এবং সে একজন বাংলাদেশী। তার বিরুদ্ধে ১৫ টি গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয় দেয়ার গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও সে কেন এসব করেছে, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেনি।
জানা যায়, অবৈধভাবে বসবাসকারী ওই বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে আগে থেকেই রোম ও মিলানের পুলিশ অফিস থেকে দুই দফায় ইতালি ছাড়ার বহিষ্কারাদেশ ছিলো বিভিন্ন অপরাধে। ১৪ মাসের কারাদন্ড মাথায় নিয়ে জামিনে বেরিয়ে এসেছিল সে।
উল্লেখ্য অগুণিত প্রবাসী বাংলাদেশীর বাস মিলানে। ওই যুবকের এ ধরনের ন্যাক্কারজনক অপরাধের কারণে স্বভাবতই সেখানকার বাংলাদেশী কম্যিউনিটির মধ্যে নেমে এসেছে আতংকের ছায়া।
ইল মাতিনো অবলম্বনে।