এখনও ১২১টি কারখানায় বেতন হয়নি। আজ মঙ্গলবার বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্যভুক্ত ২ হাজার ১৫৩টি কারখানা মালিক তাদের শ্রমিকদের গত মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছেন। এসব কারখানায় মোট ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে ২ হাজার ২৭৪টি। এসব কারখানায় মোট শ্রমিক কাজ করেন ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৪১৭ জন।
তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত মোট ৯৬.৬৪ শতাংশ কারখানা মালিক শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছেন। বিজিএমইএ বলছে, আজ পর্যন্ত তাদের সদস্যভুক্ত ২ হাজার ১৫৩টি কারখানায় ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক গত মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন।
যা মোট শ্রমিকের ৯৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এখনও ১২১টি কারখানা মালিক বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারেননি যা মোট হিসাবের ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত মোট ২ হাজার ২৭৪ কারখানার মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় রয়েছে ৩৬০টি। এর মধ্যে গত মার্চের বেতন দিয়েছে ৩৩৯টি প্রতিষ্ঠান, বেতন হয়নি ২১টি কারখানায়। গাজীপুরের ৮০৮টি কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ৭৬৪টি, বাকি রয়েছে ৪৪টি, সাভার ও আশুলিয়ায় ৪৭১টির মধ্যে বেতন দিয়েছে বাকি রয়েছে ৪৫৮টি ১৩টি, নারায়ণগঞ্জের ২৬৯টি পোশাক কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ২৬০টি বাকি রয়েছে ৯টি, চট্টগ্রামের ৩২৪টি কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ২৯৩টি বাকি ৩১টির এবং প্রত্যন্ত এলাকার ৪২টি কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ৩৯টি বাকি রয়েছে ৪টির। এ হিসেবে মোট ২ হাজার ১৫৩টি কারখানায় ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। তবে বিজিএমইএ-এর সদস্য নয়, যারা সাব কন্টাক্ট-এ কাজ করে এমন কতগুলো কারখানার শ্রমিক বেতন পাননি, তার কোনোও হিসেব নেই পোশাক মালিকদের বৃহৎ এ সংগঠনের কাছে। এদিকে বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত ৮৩৩টি কারখানার মধ্যে ৮১৯টি কারখানা মালিক তাদের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, আমরা এমন একটা সময় পার করছি যখন ক্রেতা তাদের অর্ডার বাতিল করছেন, তাদের কেউ দেরিতে টাকা দিচ্ছেন, কেউবা দিচ্ছেন না। এরপরও আমাদের দেয়া সময়ের মধ্যে অধিকাংশ কারখানা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করেছে। বড় সব কারখানা তাদের বেতন পরিশোধ করলেও ছোট ও মাঝারি কিছু কারখানা তাদের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। আমরা তাদের সহযোগিতায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। যারা প্রচলিত/অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি করেন তাদের জন্য ব্যাংকে যাচ্ছি, সেখান থেকেও সাড়া পাচ্ছি। তিনি বলেন, তহবিল শুধু ব্যাংকের শর্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ না, লকডাউন চলছে, পরিবহন বন্ধ, সীমিত লেনদেন হচ্ছে, পুরোটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। যেসব কারখানা বেতন পরিশোধ করতে পারিনি আমরা চেষ্টা করছি তাদের আগামী ২২শে এপ্রিলের মধ্যে হবে, কোনোভাবেই ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত না যাওয়ার চেষ্টা করবো।