বাংলাদেশের অন্যতম পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) করোনা ভাইরাসে অর্থনৈতিক অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারের কাছে এক হাজার ৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা চেয়েছে । এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয় ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে পাঠানো হয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য চাওয়া হয়েছে, যেখানে মার্জিন ঋণের সুদে ভর্তুকি হিসেবে ৪০০ কোটি টাকা ও বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন ফি মওকুফের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

সিএসই বলছে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা ব্রোকারেজ হাউজ থেকে মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার কিনেছে, অর্থনৈতিক এ দুরবস্থার পর তাদের অনেকের পক্ষেই পাহাড়সম সুদ পরিশোধ সম্ভব হবে না। তাই সরকার ৪০০ কোটি টাকার নগদ ভর্তুকি অথবা ছয় মাসের সমপরিমাণ সুদ মুকুফের ব্যবস্থা করতে পারে। এছাড়া প্রতি বছর সারা দেশের ২৫ লাখ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন ফি হিসেবে যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নেয়, তাও মওকুফ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিএসই’র ব্রোকারদের জন্য স্বল্প সুদে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে সিএসই।

পুঁজিবাজারে ছুটির কারণে ব্রোকারদের ও ডিলারদের কোনো উপার্জন হয়নি। তাই তাদের কর্মচারিদের বেতন ও বোনাস দিতে ৮০ কোটি টাকা চেয়েছে।

এছাড়া করপোরেট কর হিসেবে ২০ কোটি টাকার ছাড় চেয়েছে সিএসই। অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ কর হারের বদলে এবার ১০ শতাংশ হারে কর দিতে চায় সিএসই। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও সিএসই পরিচালকরা এবিষয় সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031