চারদিকে প্রাচীর ঘেরা। বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রনের সুরক্ষিত বড় অফিস। সকাল থেকেই এর গেটে জটলা দেখে বাংলা ভিশনের সাংবাদিক হাজির হন। ভিড় ঠেলে ভিতরে ঢুকে দেখেন গ্যালন ভর্তি করে লিকুইড মদ বিক্রি হচ্ছে। জানা গেল, ৯০ টাকার মদ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা লিটারে। ছবি তুলতে গেলেই ধাওয়া করে নিরাপত্তা কর্মী আর অফিস স্টাফরা। মারধার করা হয় ক্যামেরা পার্সন কামালকে। ভেঙ্গে ফেলা হয় ক্যামেরা।
ছুটে আসে সাংবাদিকরা। সংবাদ পেয়ে আনেন ভ্রাম্যমান আদালতের মেজিস্ট্রেট, র্যাবের কর্মকর্তারা। আটক করা হয় বিপুল পরিমান মদ। আটক মদ মাটিতে ঢেলে নস্ট করা হয়। এসময় অফিসের সব স্টাফ উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অফিসের মধ্যেই কেরু কোম্পানীর গোডাউন। এখান থেকে ডিলারদের মদ সাপ্লাই দেয়া হয়। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক হাফিজুর রহমানকে প্রশ্ন করা হয় মাদক বিক্রি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান কিনা। তিনি না সূচক বলায়, তাহলে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারী ছুটিতে আপনার অধিপ্তরের মধ্যে কিভাবে মদ বিক্রি হচ্ছে? তাও ৫/৬ গুন অতিরিক্ত দামে। তিনি এর কোন জবাব দেননি। ভ্রাম্যমান আদালদ মদের গোডাউন সিলগালা করে দেন। এদিকে বাংলাভিশনের বরিশালের প্রতিনিধি শাহীন হাসান ক্যামেরা পার্সনকে মারধর ও ক্যামেরা ভাংচুরের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রশাসনের কাছে।