শনিবার বিকেলে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ওই ট্রেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে আসে। লকডাউনের মধ্যেও ঢাকা থেকে আসা ট্রেন নিয়ে সিলেটে তোলপাড় চলছে। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে দ্রুত স্টেশন ত্যাগ করে চলে যান। বিষয়টি নজরে আসার পর সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজারকে তলব করেছেন জেলা প্রশাসক।
সন্ধ্যার একটু আগে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে পৌছে দুটি বগি ও একটি ইঞ্জিন সংযোজিত এক ট্রেন। ট্রেনটি রেলওয়ে স্টেশনে পৌছার আগে রেলওয়ের কয়েক জন কর্মকর্তা ও কমচারী স্টেশনে ঢুকেন। তারা গিয়ে স্টেশনের প্রধান ফটক খুলেও দেন। ট্রেন স্টেশনে থামার সঙ্গে সঙ্গে দুটি বগি থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী দ্রুত নেমে স্টেশন ত্যাগ করেন।
এ সময় দু’জন যাত্রী জানিয়েছেন- তারা ঢাকা থেকে সিলেটে এসেছেন। জরুরী কাজ থাকায় তাদের সিলেট আসতে হয়েছে বলে জানান।
ট্রেন
স্টেশনে থামার কিছু সময় পর স্টেশনের নিজের কক্ষের দরোজা বন্ধ করে চলে যান
ম্যানেজার খলিলুর রহমান। পরে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে জানান- যে ট্রেনটি
এসেছে সেটি তাদের নিজস্ব। মাত্র ৫ জন ব্যক্তি তাদের বেতন ও আনুসাঙ্গিক
সরঞ্জাম নিয়ে সিলেটে এসেছেন। ট্রেনে যে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলো সে বিষয়ে
তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে- ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ফটো
সাংবাদিক আবু বক্কর ট্রেন আসার দৃশ্যটি সরাসরি তার ফেসবুকে লাইভ করেন। ফলে
দর্শকরা তার লাইভের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন। ঘটনাটি চোখে পড়ে সিলেটের
প্রশাসনের। এ কারনে সন্ধ্যার পর স্টেশন ম্যানেজার খলিলুর রহমানকে জেলা
প্রশাসক কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।
লকডাউনের পর থেকে সিলেটে প্রবেশ এবং
বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ। ফলে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে সিলেটের মানুষও। ঢাকা ও
নারায়ণগঞ্জ থেকে অনেকেই এসে সিলেটে করোনার ট্রান্সমিশন ঘটিয়েছেন। বিকেলের
ট্রেনে ঢাকা থেকে যারা এসেছেন তারা ইতিমধ্যে নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছেন।
তাদের শনাক্ত করা কষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
এদিকে- সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগ গত দুই দিন থেকে করোনা শনাক্তের জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে। এই নিয়মের মধ্যে রয়েছে যারা এই মুহূর্তে সিলেটের বাইরে থেকে যারা আসবেন তাদের করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। পাশাপাশি তারা কোয়ারেন্টিনের নিয়ম পালন করতে হবে। ফলে ঢাকা থেকে ট্রেন যোগে যারা এসেছে তাদের শনাক্ত করতে না পারলেও নতুন করে শঙ্কা তৈরী হতে পারে সিলেটে।