সরকারের সাধারণ ছুটি চলমান করোনা সংক্রমণ রোধে। এরমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, জরুরি ওষুধ ও কাঁচামাল আমদানি ও সরবরাহ অব্যহত রয়েছে। তবে বন্দর থেকে এসব পণ্য ছাড়করণ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে জরুরি সরকারি দপ্তরও খোলা রাখা অত্যন্ত জরুরি।
এমন মত প্রকাশ করে শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ও মন্ত্রীপরিষদ সচিবের কাছে পত্র প্রেরণ করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম। ওই পত্রে দেশের অর্থনীতি সচল লাখতে তিনি ৬টি প্রস্তাব রাখেন।
প্রস্তাবে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের, বাংলাদেশ ব্যাংক, আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও এনবিআর এর সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা জরুরি। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ফলদায়ক হবে।
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রধান আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় খোলা রাখা। যাতে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে পারেন এবং কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কর্মকান্ড সমপন্ন করতে পারেন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ইষ্টার্ন রিফাইনারি, এলপি গ্যাস লিমিটেড ইত্যাদি চালু রাখার মাধ্যমে দেশে জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখা।
যাতে গ্যাস, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসমূহ পরিবহনে রেজিষ্ট্রেশন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নবায়নের জন্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অর্থরিটি (বিআরটিএ) খোলা রাখা।
সেবাদানকারী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র আবশ্যক যা যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নবায়ন করতে হয়। তাই এইসব প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সীমিত আকারে খোলা রাখা।
তাছাড়া বিভিন্ন সমস্যার ফলে সময়মত ছাড় করতে না পারার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে অনেক রেফারেল কনটেইনার আটকে আছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক জাহাজ রেফারেল কনটেইনার নিয়ে বন্দরে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে ডেমারেজ চার্জ এর কারণে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের ব্যয় অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে বন্দরে অবস্থিত রেফারেল কনটেইনার দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা করা।
পত্রে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্পোৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি, বিনিয়োগ তথা প্রাইভেট সেক্টরকে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী গৃহীত ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ কার্যক্রমের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান চেম্বার সভাপতি।