ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র ১৯৬ বোতল সয়াবিন তেল ও ৭৩ বস্তা চিনিসহ যুবলীগ নেতা আমান হোসেন এবং চার কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নবীগঞ্জ ইনাতগঞ্জ বাজারে ।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ইনাতগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী স্থানীয় লালাপুর গ্রামের হাজী হেলিম উদ্দিনের পুত্র যুবলীগ নেতা নোমান হোসেনকে অবৈধভাবে টিসিবির পণ্য সামগ্রী পাইকারী ও খুচরা কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে নবীগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান চালায়। এসময় বিপুল পরিমান টিসিবি সোয়াবিন তৈল চিনিসহ পণ্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। শুধু টিসিবি পণ্যই নয়, এসময় তার নিকট অবৈধ ভারতীয় সিগারেটও উদ্ধার করা হয়। অভিযানে অংশ নেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত, জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার চৌধুরীসহ দুই থানার পুলিশ সদস্যরা।
এ সময় কয়েক শতাধিক ভূক্তভোগী জনসাধারন প্রশাসনের উপস্থিতিতে ইনাতগঞ্জ বাজারে উপস্থিত হয়ে যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী নোমান হোসেনকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি ইনাতগঞ্জ পূর্ব বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। ইনাতগঞ্জ বাজারের সিমান্ত জগন্নাথপুর উপজেলার আলীগঞ্জ বাজার গুদাম থেকে জবন্দকৃত পণ্য সামগ্রী হচ্ছে, টিসিবির ৭৩ বস্তা চিনি,১৯৬ পিস সোয়াবিন তেল, চিনি পরিবর্তন করা ৬ বস্তা, টিসিবি চিনির খালি বস্তা ৯টি।
ইনাতগঞ্জ বাজারের ভিতরের ব্যবসা প্রতিষ্টান ও গুদাম থেকে জব্দ করা হয়- টিসিবির ৫লিটার সোয়াবিন তেল, টিসিবি, লেভেল ছাড়া চিনির খালি কার্টুন ৩টি, লেভেল ছাড়া ৫ লিটার সোয়াবিন তৈল।
এ সময় ব্যবসায়ী নোমান হোসেন এর ভাইসহ ৫ জনকে আটক করে
প্রশাসন। পরে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ আটককৃতদের জগন্নাথপুর থানার নিকট
হস্তান্তর করে । অভিযান এর খবর পেয়ে নোমান হোসেন পালিয়ে যায়।
আটককৃতরা
হলো নোমানের ছোট ভাই আমান হোসেন (৩০), ৪ কর্মচারী হলো- জগন্নাথপুর উপজেলার
আলীপুর গ্রামের নিতেশ রায়ের পুত্র লিংকন রায়(৩০), নবীগঞ্জ উপজেলার
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের তপথিবাগ গ্রামের ছমেদ মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া(৪০), একই
গ্রামের শফিক উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কালাম, বটপাড়া গ্রামের কুতুব উদ্দিনের
পুত্র আবুল কালাম (৪২)।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত
কুমার পাল বলেন,করোনা ভাইরাসের এই মহামারী পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের ও
অস্বচ্ছল দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পণ্য সামগ্রী অবৈধ
মজুদ এবং বিক্রির অভিযোগে যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। এঘটনায় দুই থানায় মামলা
হবে।