ঢাকা : যেন এক উৎসবের নগরী।বিমানবন্দর থেকে হোটেলরুম। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। রাস্তার দুপাশ থেকে হাত নেড়ে প্রিয় ফুটবলারদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন হাজারো ভক্ত। রং বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন আর দেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা পর্তুগীজরা। আকাশে বাতাসে কেবল একটাই প্রতিধ্বনি ‘পর্তুগাল, পর্তুগাল’। কেউ আবার মেতেছেন আতোশ বাজির মোহে।
প্রাণের ফুটবলাররাও হতাশ করেননি ‘পাগল’ সমর্থকদের। হাত উঁচিয়ে ভক্তদের ভালোবাসার উত্তর দিয়েছেন তাঁরা।
এমন একটি উৎসবের জন্যই দীর্ঘ ১২ টি বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিল ইউসেবিও, রুই কস্তা ও লুইস ফিগোর দেশ। শেষমেশ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কাঁধে ভর করেই স্বপ্নের মুকুট ঘরে তুলল ফার্নান্দো সান্তোসের ছাত্ররা।
পুরো আসরজুড়ে নিজের দক্ষতা আর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন পর্তুগীজ বস। শুরুটা হয়তো উল্লেখ করার মতো না হলেও পর্তুগালের শেষটা থাকবে ইতিহাস হয়েই।
রোনালদো-পেপে-ন্যানি-এডারের মতো তারকাখচিত দল নিয়ে খেতাবটা তো পর্তুগালেরই প্রাপ্য ছিল। যেমনটি আগের দিন বলেছিলেন দলের অভিভাবক সান্তোস। ঠিক সেটাই বুঝিয়ে দিলেন তাঁর শিষ্যরা। প্রমাণ করলেন নিজেদের শক্তিমত্তা।
দু’বারের ইউরো সেরা আর বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে স্বপ্নের তকমাটা ঘরে তুললেন রোনালদোরা। এ থেকে খুশির আর কি হতে পারে! তাইতো আনন্দে আত্নহারা পুরো পুর্তুগালবাসী।